জলদসৃ্যুতা রোধে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক কর্মশালা হয়েছে।
২১টি দেশ নিয়ে গঠিত সংগঠন রিজিওন্যাল করপোরেশন এগ্রিমেন্ট অন কোমবেটিং পাইরেসিং অ্যান্ড আন রোবারি এগনেস্ট শিপ ইন এশিয়া (রিক্যাপ)-এর সদস্যরা এই কর্মশালায় অংশ নিচ্ছেন।
শুক্রবার বাংলাদেশী পতাকাবাহী “পরিদর্শী” জাহাজে করে তারা পদ্মা সেতু পরিদর্শন এবং পদ্মা নদীর রুপ অবলোকন করেন। নৌ-পথের দস্যুতা রোধে রিক্যাপ’র উদ্যোগে কর্মশালায় নৌ-বাহিনী এবং নৌ-শিল্পের সঙ্গে জড়িত ১৫ দেশের ২৬ প্রতিনিধি অংশ নেয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মো. মাকসুদ আলম নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম, যুক্তরাষ্ট্রের নৌ বাহিনীর কর্মকর্তা ডেভিড যোসেফ কওহি, রিক্যাপের নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণস্বামী নটোরঞ্জনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।
কর্মশালায় অংশ নেয়া বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা পদ্মায় ভ্রমণে গিয়ে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা সেতু দেখে সরকারের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে স্বাগত জানান। তারা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার ভুয়সী প্রশংসা করেন। এ সময় বিদেশী প্রতিনিধিরা উচ্ছ্বস প্রকাশ করেন। এ সময় তাদের পদ্মা সেতুর সাথে ছবি তুলতেও দেখা যায়।
নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মো. মাকসুদ আলম বলেন, আন্তর্জাতিক নৌ-পথ এবং জাহাজ শিল্পের সাথে জড়িত দেশগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে ২০০৬ সালে রিক্যাপ গঠন করে। একের পর এক জলদস্যুতা, বিশেষ করে ২০০০ সালে জাপানি জাহাজ সোমালিয়ানদের দ্বারা আক্রান্ত হওযার পরই নৌ দস্যুতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধতার শুরু।
১৪টি এশিয়ান দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক, হল্যান্ড, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও অস্ট্রেলিয়া এর সদস্য। এই ২১ দেশের ভোটে বাংলাদেশ এবার প্রথমবারের মত তিনদিনের আন্তর্জাতিক কর্মশালায়টি হচ্ছে। তিনি বলেন- রিক্যাপের ১৬তম ফাউন্ডার মেম্বার বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক এই ওয়ার্কশপ থেকে দেশের নৌ-পথ নিরাপদ রাখা এবং জাহাজ শিল্পকে এগিয়ে নেযার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক। নৌ-দস্যুতার বিরুদ্ধে তারা দেশে-দেশে কাজ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৩০:২৪ ৫৪ বার পঠিত