যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই ও স্থায়ী সমাধান চাই আমরা। কিন্তু মিয়ানমারে এখনো রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। মিয়ানমার সরকার সেখানে কোনো মানবাধিকার সংগঠনকে প্রবেশ করতে দেয় না।
ফলে সেখানকার আসল পরিস্থিতি জানা যাচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের পছন্দমতো গ্রামে বসতি স্থাপন করতে দিচ্ছে না। সেখানে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে মানবিক সহায়তা পাঠানোর অনুমোদন দিচ্ছে না। তাই আমি মনে করি না, এটা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত সময়।
আফরিন আখতার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই ও স্থায়ী সমাধানও চায়। বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই ও স্থায়ী সমাধান এবং স্বল্প মেয়াদে মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আফরিন আখতার এসব কথা বলেন।
ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি।
তিনি বলেন, ‘সবার অংশগ্রহণে বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্ক বিদ্যমান। যার মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বাণিজ্য এবং বিনিয়োগে দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের অংশীদার। অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
’
এর আগে সকালে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আসেন আফরিন আখতার। পরিদর্শন শেষে বিকেলে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩২:০৬ ৪৭ বার পঠিত