তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসতে না পারায় আওয়ামী লীগের তৈরি করা ১০ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের বিল্ডিং বন্ধ করে দেন সেই সময়ের প্রধানমন্ত্রী (খালেদা জিয়া)। তিনি এগুলো বন্ধ করেছিলেন কেন জানেন, তার ধারণা ছিল কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সাধারণ মানুষ যদি চিকিৎসাসেবা পায়, বিনামূল্যে ওষুধ পায়, তাহলে সব ভোট তারা নৌকা মার্কায় দেবে। কতটা অমানবিক। এই কারণে বলা হয় যে উন্নয়নের জন্য চাই ধারাবাহিকতা।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে নাটোরের সিংড়ায় তুরস্ক সরকারের অর্থায়নে নির্মিত একটি কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তুরস্কে দেখেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান পরপর তিনবার প্রেসিডেন্ট। তিনি ধারাবাহিকভাবে প্রায় দুই দশক ধরে তুরস্ককে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রযুক্তিতে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। আবার বাংলাদেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরপর তিনবার আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হতে পেরেছেন বলেই আজকে সবার জন্য শিক্ষা, সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা, আমাদের ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পেরেছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছেন। তাদের বাসস্থান, খাদ্য, চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। সেই সময় আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র তুরস্কের প্রেসিডেন্টের স্ত্রী (ফার্স্ট লেডি) বাংলাদেশে এসে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে তাদের খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা করেছিলেন। আবার তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তুরস্কে ১০ হাজার তাঁবু নিয়ে বাংলাদেশের মেডিকেল টিম, সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী, ফায়ার সার্ভিসের রেসকিউ টিম সে দেশের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। সেই ১০ হাজার তাঁবুতে ১ লাখ গৃহহীন মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সিংড়ার স্বাস্থ্যসেবার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে উন্নয়ন করেছেন তা আমরা গত ৫০ বছরে পাইনি। আমাদের একটি হাসপাতাল ছিল ৩১ শয্যা বিশিষ্ট। যেখানে একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল ২০ বছরের পুরোনো। আর আমরা গত ১৪ বছরে সিংড়া হাসপাতালকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করেছি। যেখানে ৩টি আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পেয়েছি। সিংড়ায় ১২ ইউনিয়নের ৫০টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে যেখানে শত শত তরুণ-তরুণীর চাকরি হয়েছে।
তিনি বলেন, এক সময় সিংড়ায় বিদেশি অতিথিরা আসলে ফ্যানের বাতাস দেওয়ার ব্যবস্থাও ছিল না। কারণ সে সময় ৩০ শতাংশ বাড়িতে বিদ্যুৎ থাকলেও ১২-১৪ ঘণ্টা লোডশেডিং থাকতো।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে জুনাইদ আহমেদ পলক, আপনারা কোনো অপপ্রচারে কান দেবেন না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিনরাত পরিশ্রম করছেন এই দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় রূপান্তর করার জন্য। তাই আমাদের সন্তানদেরকে স্মার্ট বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার জন্য, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্য আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন।
অনুষ্ঠানে আলোকিত বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখার হোসেন মাসুদ, সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওহিদুর রহমান শেখ, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ মশিউর রহমানসহ তুরস্কের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৪০:০১ ৪৯ বার পঠিত