১২ অক্টোবর ২০২৩ : বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, খনিজ, জীবাশ্ম জ্বালানি ও অন্যান্য ভূ-অভ্যন্তরীণ সম্পদ মাত্রার চাইতে অতিরিক্ত উত্তোলনের কারণে স্থলজ ও জলজ বৈচিত্র্য ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি অর্থনীতি ও জীবন-জীবিকায় ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। কৃষিভূমির পরিমাণ হ্রাস, উষ্ণতা বৃদ্ধি, সমুদ্র উচ্চতা বৃদ্ধি ইত্যাদি মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অশনী সংকেত। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবেলা, জীববৈচিত্র্য ও বাস্তুসংস্থানের ভারসাম্য রক্ষায় সকলে একসাথে কাজ করা জরুরি। তিনি বলেন, অধিকতর বাসযোগ্য, সহনশীল, সবুজ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সাম্যভিত্তিক বিশ্ব নির্মাণে পি-টুয়েন্টি সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
ভারতের নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত নবম জি-টুয়েন্টি পার্লামেন্টারি স্পিকারস সামিট (পি-টুয়েন্টি) সম্মেলনের ‘লাইফস্টাইল ফর এনভায়রনমেন্ট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় উপস্থিত হয়ে স্পীকার আজ এসব কথা বলেন।
স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশ। পরিবেশ সুরক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ কাজ করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূহের নেতৃত্ব দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও তাঁর ভিশনারি নেতৃত্বে সরকার বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০, ভিশন ২০৪১, ন্যাশনাল এডপ্টেশন প্লান (এনএপি) ২০২৩-২০৫০, ন্যাশনালি ডিটারমিন্ড কন্ট্রিবিউশন (এনডিসি), মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্লান ইত্যাদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিশ্বের সংসদসমূহকে পৃথিবীর যথাযথ সুরক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক শক্তি সংরক্ষণ, পানিসম্পদ সংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা, সুষ্ঠু বর্জ্য ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যস্থাপনা, স্যানিটেশন ইত্যাদি অর্জনের সাথে সাথে টেকসই-সবুজ পৃথিবী নির্মাণে একত্রে কাজ করার বিকল্প নেই। উদীয়মান চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলায় উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে পেতে বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্যদের নিয়ে পারস্পরিক মতবিনিময় ও সভার আয়োজন করা যেতে পারে।
কনফারেন্সে স্পীকার আইপিইউ প্রেসিডেন্ট ডুয়ার্তে পাচেকো এবং মরিসাসের স্পীকার সুরোজদেভ ফকীরের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সেমিনারে ভারতের লোকসভার স্পীকার ওম বিড়লাসহ ব্রাজিলের স্পীকার আর্থার লিরা, নাইজেরিয়ার স্পীকার তাজুদ্দিন আব্বাস, ভারতে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি সোম্বি শার্প বক্তব্য প্রদান করেন। এসময় বিভিন্ন দেশের স্পীকারগণ উপস্থিত ছিলেন।
এরপূর্বে স্পীকার দিল্লি পৌঁছালে পশ্চিমবঙ্গের এমপি লকেট চ্যাটার্জী তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান। এরপরে স্পীকার আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৩৪:৪০ ৫৮ বার পঠিত