বর্তমান কৃষিকে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য টেকসই ও নিরাপদ বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরের মাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কৃষিখাতে নেওয়া সবচেয়ে বড় প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্ট্রাপ্রেনরশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) নামের এ প্রকল্পের ব্যয় প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা। এটি কৃষির উন্নয়নে এ যাবৎ পর্যন্ত নেওয়া সবচেয়ে বড় প্রকল্প।
আজ রাজধানীর খামার বাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার। তিনি এসময় বিশ্বব্যাংক ও ইফাদকে ধন্যবাদ জানান এবং স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সাথে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য পরিচালক ও সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান।
৬৪ জেলার ৪৯৫ উপজেলায় পার্টনার বাস্তবায়িত হবে জুলাই ২০২৩ থেকে ২০২৮ সালের জুন সময়সীমায়। মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৯১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন এক হাজার ১৫১ কোটি টাকা ও প্রকল্প সাহায্য হিসেবে আসবে পাঁচ হাজার ৭৫৯ কোটি টাকা। প্রকল্প সাহায্য হিসেবে বিশ্বব্যাংক দিচ্ছে পাঁচ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ও ইফাদ দিচ্ছে ৫০০ কোটি টাকা।
এই মেগা প্রকল্পের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে উত্তম কৃষিচর্চা সার্টিফিকেশনের মাধ্যমে তিন লাখ হেক্টর ফল ও সবজি আবাদি জমি বৃদ্ধি; জলবায়ু অভিঘাত সহনশীল উচ্চ ফলনশীল নতুন ধানের ও ধান ছাড়া অন্যান্য দানাদার ফসলের জাত উদ্ভাবনসহ মোট চার লাখ আবাদি জমির পরিমাণ বৃদ্ধি; উন্নত ও দক্ষ সেচ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এক লাখ হেক্টর নতুন আবাদি জমি সেচের আওতায় আনয়ন; স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দেশব্যাপী দুই কোটি ২৭ লাখ ৫৩ হাজার ৩২১টি কৃষক পরিবারকে ‘কৃষক স্মার্টকার্ড’ প্রদানের মাধ্যমে ডিজিটাল কৃষি সেবার সম্প্রসারণ।
এছাড়া, ই-ভাউচারে প্রদান করা হবে ভর্তুকি, কৃষকদের জন্য তৈরি হবে কৃষক ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সিস্টেম। মোবাইল প্ল্যান্ট ক্লিনিকের মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণ সেবাকে কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে। ড্রিপ, স্প্রিংকলার, এডব্লিউডি ও ভূ-গর্ভস্থ সেচ নালাসহ সৌরশক্তি ব্যবহার করে সেচের পানি ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী পরিবর্তনের মাধ্যমে পানির অপচয় হ্রাস করা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৪:০২ ৪৩ বার পঠিত