দাবি করা যৌতুক না দেয়ায় নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রহিমা আক্তার সুমিকে (২২) শ্বাসরোধ করে হত্যার পর শৌচাগারে ফেলে পালিয়ে যায় স্বামী মো. আবু ইউসুফ। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার (৮ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় সোনাইমুড়ী থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম।
এর আগে শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার পর পলাতক আসামি ইউসুফকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার আসামি আবু ইউসুফ কুমিল্লা জেলার নবীপুর গ্রামের মাওলানা মো. আবু মুসার ছেলে।
পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৫-৬ মাস আগে সুমিকে বিয়ে করে আবু ইউসুফ। কিছুদিন আগে তিনি সুমির কাছে এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় গত রোববার (১ অক্টোবর) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে সুমিকে হত্যা করেন তিনি। পরে মরদেহ শৌচাগারে ফেলে পালিয়ে যায় ইউসুফ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আরাফাত হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন আবু ইউসুফ। ইউসুফ পেশায় একজন চোর। তিনি একাধিক বিয়েও করেছেন। মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রথমে বিয়ে করেন। পরে যৌতুক নিয়ে পালিয়ে যায় আবু ইউসুফ। একই কাজ করেছেন সুমির ক্ষেত্রেও। গ্রেফতার আসামিকে রোববার দুপুরে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৪২:২৯ ৩৫ বার পঠিত