বিশ্বব্যাংক থেকে ২ শতাংশ সুদে সহজ শর্তে ঋণ পেয়ে থাকে বাংলাদেশ। তবে, বাংলাদেশ চাইলে কঠিন শর্তের ঋণ (নন–কনসেশনাল) দিতে আগ্রহী বিশ্বব্যাংক। তবে, এর জন্য দিতে হবে ৫ শতাংশ সুদ।
রোববার (১ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক। এ সময় বাংলাদেশকে ৫ শতাংশ সুদে ঋণ নেওয়ার প্রস্তাব দেন বিশ্বব্যাংক কান্ট্রি ডিরেক্টর।
সালমান এফ রহমান বলেন, বিশ্বব্যাংক আমাদের এখনো কনসেশনাল রেটে লোন দিচ্ছে। তারা বলেছে, তোমরা যদি চাও তাহলে নন–কনসেশনাল রেটে আরও ঋণ নিতে পারো। এর জন্য তারা ৫ শতাংশ চার্জ করবে। সেটা অনেক বেশি। আমরা তো প্রায় ২ শতাংশ দিয়ে পেয়ে থাকি। তবে গ্র্যাজুয়েশন (উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত) হয়ে গেলে, সেটা তো আর পাওয়া যাবে না। সেটাও একটা বিষয়।
তিনি বলেন, রিজার্ভ নিয়ে অনেক কথা বলা হচ্ছে, আমার কথা হলো যদি ২১ বিলিয়ন রিজার্ভ হয়, তাহলে চার মাস এক্সপোর্ট করতে পারব। আমাদের ইমপোর্ট ৫ বিলিয়নে নেমে এসেছে। ফলে এই রিজার্ভ দিয়ে চার মাস এক্সপোর্ট করা যাবে। ফোর মান্থ রিজার্ভ ইজ ভেরি কমফোর্টেবল রিজার্ভ। অনেক দেশ আছে যাদের রিজার্ভ দিয়ে দুই মাস ও এক মাস এক্সপোর্ট করা যায়। তারপরও তারা কিন্তু ম্যানেজ করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, আমি মনে করি সামনে নির্বাচন। সুন্দরভাবে একটা সফল নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচনের ফোকাসটা লুজ করতে পারি না। এ মুহূর্তে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করাই সরকারের মূল লক্ষ্য। আর্থিক খাতের প্রয়োজনীয় সংস্কার নতুন সরকার করবে।
তিনি বলেন, রিজার্ভ ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা বলছি এগুলো আমরা ম্যানেজ করছি। এক্সচেঞ্জ ম্যানেজ ভালো করেছি, এখন ডলার ১১০-এ এসেছে। মূল্যস্ফীতিও আমাদের খেয়াল করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পেতে কোনো বাধা নেই। মূল্যস্ফীতির চাপ ও রিজার্ভ সংকট উত্তরণে আর্থিক খাতের প্রয়োজনীয় সংস্কার নতুন সরকার করবে।
আলোচনাকালে বাংলাদেশের রিজার্ভের সমস্যাটি সাময়িক উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, বৈশ্বিক কারণে সৃষ্ট রিজার্ভের সমস্যাটি বাংলাদেশ দ্রুত কাটিয়ে উঠবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:২৮:২৯ ৪২ বার পঠিত