রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩

নতুন প্রজন্মকে ইনোভেটিব ও স্মার্ট হতে হবে: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

প্রথম পাতা » চট্রগ্রাম » নতুন প্রজন্মকে ইনোভেটিব ও স্মার্ট হতে হবে: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩



নতুন প্রজন্মকে ইনোভেটিব ও স্মার্ট হতে হবে: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, একজন উদ্যোক্তা অসংখ্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। আর অন্যদিকে একজন চাকরিজীবী সর্বোচ্চ একটা পরিবারের দায়িত্ব নেয় মাত্র। তাই নতুন প্রজন্মকে ইনোভেটিব ও স্মার্ট হওয়ার পাশাপাশি উদ্যোক্তা হয়ে সমাজে ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, শৈশব থেকে মা বাবা কিংবা শিক্ষক সকলেই আমাদের অনুপ্রাণিত করেছেন পাবলিক সার্ভিস হোল্ডার বা ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হতে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মকে চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছেন।
রোববার (১ অক্টোবর) চট্টগ্রাম নগরীর চট্টেশ্বরী রোডস্থ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর মাহসা আমিনী ক্যাম্পাস এর কনফারেন্স হলে স্টার্টআপ কম্পাস ইউনিভার্সিটি অ্যাক্টিভেশন এ আইসিটি প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এক সময় আমরা ডাক বিভাগের মাধ্যমে টাকা আদান-প্রদান করতাম। সময় লাগতো ২ থেকে ৩ দিন। ২০১০ সালে ছোট আকারে যাত্রা শুরু করে বিকাশ ইনিশিয়েটিভ। মাত্র ১২ বছরের পথ চলায় বিকাশ এখন বিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। বিকাশের মাধ্যমে শুধু কম সময়ে ও নিরাপদে টাকা আদান-প্রদানের সুন্দর সমাধান হয়েছে তা নয়, এর বদৌলতে হাজারো লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, একটি মাত্র ইনোভেটিব এবং ক্রিয়েটিভ সলিওশান কিভাবে বৃহত্তর সমস্যার সমাধান করার পাশাপাশি বিশাল একটা জনগোষ্ঠির কর্মক্ষেত্রে পরিণত হতে পারে বিকাশ তার উত্তম উদাহরণ। তাই শিক্ষার্থীদের অনুপ্রণিত করতে এখানে আমরা ইনোভেশান, ডিজাইন এবং এন্ট্রেপ্রেনিউরশিপ একাডেমি স্থাপন করছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্টার্টআপ কম্পাসকে সফল করতে হলে ফান্ডিং, ট্রেনিং, ইনকিউবেশন এবং নেটওয়ার্কিং এ ৪টি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। এরই মধ্যে আমরা বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের কাজ শুরু করেছি।
এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, যদি তোমার একটি সৃজনশীল মন থাকে তবে তুমি তোমার সৃজনশীল ধারণা দিয়ে যে কোন সমস্যা সমাধান করতে পারবে। সব সমস্যাকে তুমি একা সমাধান করতে চেষ্টা করো না। বিশ্বের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠিত কোম্পানী যৌথ প্রচেষ্টা ও অর্থায়নের কারনে সফল হয়েছে। সুতরাং যৌথ প্রচেষ্টা ও অর্থায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্টার্টআপ বাংলাদেশ কোম্পানির মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৩০টি কোম্পানী বিনিয়োগ করেছে। যেমন শপআপ, চালডাল, পাঠাও, টেন মিনিটস স্কুল ইত্যাদি।
অনুষ্ঠানে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর উপাচার্য ড. রুবানা হকের সভাপতিত্বে উপ-উপাচার্য ড. ডেভিড টেইলর ও ড. মিজানুর রহমান বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২:১৯:৫৫   ৪৪ বার পঠিত