সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের প্রায় ১১ হাজার সৈন্য আমাদের স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছে, প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে, শহীদ হয়েছে। সেজন্য ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক আত্মিক ও রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ। সাংস্কৃতিক বিনিময় এ বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করেছে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় ‘লিভিং আর্ট’ আয়োজিত ‘ইন্দো-বাংলা বন্ধন গ্রুপ শিল্প প্রদর্শনী ২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগে আমাদের গ্রামে-গঞ্জে জারি, সারি, ভাটিয়ালি, মুর্শিদী, মারফতি, গাজীর গান প্রভৃতি শোনা যেত। তবে আধুনিকতার সংস্পর্শে আমাদের এসব লোকজ গান ও ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। এখন আমাদের গান চর্চা হচ্ছে ফেসবুক ও ইউটিউবসহ বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে। তবে সেটি খারাপ কিছু নয়। সেজন্য আমাদের আধুনিকতার সঙ্গে ঐতিহ্যের সমন্বয় সাধন করতে হবে।
‘লিভিং আর্ট’র পরিচালক ড. বিপ্লব গোস্বামীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ আজম, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ও বাংলাদেশ যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিসিআর হিন্দি চেয়ার ড. পুনম গুপ্ত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী জাতীয় চিত্রশালা ভবনের ৬ নম্বর গ্যালারিতে ‘লিভিং আর্ট’ আয়োজিত এ প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।
প্রতিমন্ত্রী পরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে বাংলাদেশ-কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় ঢাকাস্থ দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাস আয়োজিত ‘কোরিয়ান মিউজিক লাইভ কনসার্ট’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫৪:৩৬ ৬২ বার পঠিত