ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে জমির পাকা ধান কেটে নিতে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার রাতে নান্দাইল চৌরাস্তা এলাকা থেকে মোহাম্মদ আলী (৬০) ও তাইজুল ইসলামকে (৫৫) গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার তাদের থানায় সোপর্দ করা হয়।
বুধবার র্যাব-১৪ ময়মনসিংহের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের জাটিয়া সরকারপাড়া গ্রামের দুই ভাই আবদুল খালেক ও আবদুল আলীর মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। তারা ওই গ্রামের নেওয়াজ আলীর ছেলে। আবদুল আলীর কোনো সন্তান নেই, তিনি স্ত্রীর নামে সব সম্পত্তি লিখে দেন। সেই সম্পত্তি দুই ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে সঠিকভাবে বণ্টন না হলেও আবদুল আলী নিজের স্ত্রীকে জমি লিখে দেওয়াকে কেন্দ্র করে অসন্তোষ চলছিল। সম্পত্তির মাপজোখ করে বুঝে নেওয়ার জন্য আবদুল আলীকে বড় ভাই আবদুল খালেকের ছেলেরা বললেও তা করছিলেন না। উল্টো আবদুল আলী নিজের শ্বশুরবাড়ির লোকজন নিয়ে জমি দখলে রাখেন।
রোববার সকালে জমিতে পাকা ধান কাটতে যান আবদুল আলীর স্ত্রীর ভাই ইসলাম উদ্দিন ও তার লোকজন। নিজেদের জমি থেকে ধান কাটতে দেখে নিষেধ করেন আবদুল খালেকের ছেলে রুবেল মিয়া (২৬)। রুবেল মিয়া পেশায় পাওয়ার টিলার চালক ছিলেন। রুবেল ধান কাটতে নিষেধ করলে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করা হয়। ওই সময় তাকে রক্ষা করতে গিয়ে ভাই আবু হানিফা, আবদুস সোবহান ও রাকিবুল ইসলামও আহত হন। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ৯টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আজিজুল হক বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। পরে পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামি ইসলাম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। পলাতক আসামিদের মধ্যে মোহাম্মদ আলী ও তাইজুল ইসলামকে র্যাব গ্রেপ্তার করে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, দুই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:০২:৪২ ৫৯ বার পঠিত