হারের মাধ্যমে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের খেলা শুরু করলো বাংলাদেশ। ইমাম-রিজওয়ানের ফিফটিতে পাকিস্তান জিতেছে ৭ উইকেটে বড় ব্যবধানে। শুরুতে নেমে মাত্র ১৯৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। জবাবে খেলতে নেমে ৭ উইকেট ও ৬৩ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তানিরা।
লো-স্কোরিং ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমে কোনো চাপই নেয়নি পাকিস্তান। তবে ওপেনিং জুটিতে বেশি রান তুলতে পারেনি দল। ৩১ বলে ২০ রান করে আউট হন বাঁ-হাতি ওপেনার বাবর আজম। আর দ্বিতীয় উইকেটে খেলতে নেমে ২২ বলে ১৭ রান করেছেন দলনেতা বাবর আজম।
এদিকে তৃতীয় উইকেট জুটিতে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে দারুণ ব্যাট করে যান ওপেনার ইমাম উল হক। এ সময় এই দুই ব্যাটার মিলে গড়েন ৭৫ রানের জুটি। তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় দল। ব্যক্তিগত অশর্ধশতক পূরণের পর ৭৮ রানে থামেন ইমাম। এদিকে আঘা সালমানকে সঙ্গে নিয়ে জয় নিশ্চিত করে রিজওয়ান। ৬৩ রানে রিজওয়ান ও ১২ রানে সালমান অপরাজিত থাকেন।
এর আগে লাহোরে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশি দলনেতা সাকিব আল হাসান। কিন্তু শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ফখর জামানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মেহেদি হাসান মিরাজ। দ্বিতীয় উইকেটে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়ে ১১ বলে ১৬ রানে ফেরেন লিটন।
ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়ও। হারিস রউফের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৯ বলে ২ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
মাত্র ৪৭ রানে ৪ উইকেটে পড়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশের হাল ধরেন দলনেতা সাকিব আল হাসান ও উইকেটকিপার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। ইতিবাচক ব্যাট করে যান এই দুই ব্যাটার। দুজন মিলে গড়েন ১০০ রানের জুটি। ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণের পর ৫৩ রানে থামেন সাকিব।
এরপর একপ্রান্তে মুশফিক থাকলেও অন্যপ্রান্তে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি কেউই। সাকিবের পর ফিফটি পূরণের পর ৬৪ রানে থেমেছেন মুশফিক। তার এই ইনিংসটি পাঁচটি চারে সাজানো। এছাড়া শামীম ১৬, আফিফ ১২, তাসকিন শূন্য ও শরিফুল ১ রান করেন। আর ১ রানে অপরাজিত থাকেস হাসান মাহমুদ।
পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন হারিস রউফ। নাসিম শাহ নেন তিনটি উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেটের দেখা পেয়েছেন তিনজন বোলার।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৯:৫৪ ৯৪ বার পঠিত