ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘টিকটক’ দেশের তরুণ প্রজন্মের ডিজিটাল দক্ষতা উন্নয়নে এবং দক্ষতা অর্জনে ফলপ্রসূ অবদান রাখতে পারে।
তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল দক্ষতার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে টিকটক এগিয়ে আসতে পারে এবং কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
মোস্তাফা জব্বার আজ তার সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে টিকটকের গ্লোবাল পাবলিক পলিসি বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট হেলেনা লার্সের সঙ্গে বৈঠককালে এ কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বেশির ভাগ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিনোদনের জন্য ব্যবহার করে। এই মাধ্যমটি দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহারকারীগণ যাতে কাজে লাগাতে পারে এবং শিক্ষামূলক তথ্য-উপাত্ত প্রচারের পাশাপাশি ইতিবাচক কাজে টিকটক ব্যবহারে আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারে সেই ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে।
মন্ত্রী ১৯৯৯ সাল থেকে শিক্ষার ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি এবং এর ফলে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনে নতুন প্রজন্মের অগ্রগতিতে তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, স্মার্ট মানব সম্পদ তৈরির অংশ হিসেবে দেশের ৬৫০টি স্কুল ও ২৮টি পাড়াকেন্দ্রে ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে পাঠদান কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। আরও ১ হাজার প্রতিষ্ঠানে এ ব্যবস্থা চালু করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।
তিনি বলেন, টিকটক যাতে শিক্ষামূলক কনটেন্ট প্রচারের পাশাপাশি আমাদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক রীতিনীতির সাথে মানানসই সামাজিক প্রচার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয় সে বিষয়ে টিকটককে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় দেশের দুর্গম অঞ্চলসহ সারাদেশে মানুষের দোরগোড়ায় উচ্চগতির ডিজিটাল সংযুক্তি পৌঁছানো হয়েছে। দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকা ফোর-জি মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যন্ত উচ্চগতির ব্রডব্য্যাান্ড সংযোগ পৌঁছে দেয়া হয়েছে। ডিজিটাল সংযুক্তির সম্প্রসারণের ধারাবাহিকতায় এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ডিজিটাল প্রযুক্তি দেশের তৃণমূল মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে।
হেলেনা লার্স ডিজিটাল সংযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং তারা বাংলাদেশের সংস্কৃতিসহ সকল রীতিনীতি মেনে টিকটককে গণমানুষের প্রিয় প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরের উদ্যোগ গ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৪:৩৪ ৪৫ বার পঠিত