গ্যাস সরবরাহে পায়রা সমুদ্র বন্দরে আরও একটি ফ্লোটিং স্টোরিজ রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এ প্রকল্পে পাইপলাইনে বিনিয়োগ করবে ইউএস এক্সিলারেট কোম্পানি।
বুধবার (৩০ আগস্ট) সচিবালয়ে জ্বালানি বিভাগের সভাকক্ষে সফররত ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের নির্বাহীদের সঙ্গে সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এমন তথ্য জানিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পায়রায় গভীর সমুদ্রে আরও একটি ফ্লোটিং স্টোরিজ রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) করবো। যেটা গ্যাস সরবরাহ করবে। ইউএস এক্সিলারেট কোম্পানি সেখানে পাইপলাইনে বিনিয়োগ করবে। কোম্পানির প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে একটি টিম আজ এসেছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন। এখানে মূলত শেভরন, এক্সন মোবিল, ইউএস এক্সিলারেট ও ব্ল্যাকরক ছিল। এছাড়া মার্কিন ব্যবসায়িক কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ছিল। এছাড়া এখানে অনেকে ছিল। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানির লোকজন এতে অংশ নিয়েছেন। তারা উদারভাবে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়। তারা বাংলাদেশ সরকারের ওপর খুবই খুশি। এই সরকারের ওপর আস্থা আছে বলেই ভবিষ্যতে আরও বেশি ব্যবসায়িক সুযোগের খোঁজ করছেন। আমরাও আশা করছি- মার্কিন কোম্পানিগুলো অনেক বড়ো, তাদের কাজের মানও ভালো। তারা খুবই স্বচ্ছ।
তিনি বলেন, ২০২৬ সাল থেকে শুরু করে খুলনা, যশোর ও সিরাজগঞ্জে যে পাইপলাইন যাচ্ছে, সেখানে গ্যাস সরবরাহ করতে রিং বেল্ট তৈরি করছি। যেন আগামী ২০২৬ সালের পর থেকে গ্যাসের কোনো সমস্যা দেখা না দেয়, সেভাবে পরিকল্পনা নিয়ে ইউএস এক্সিলারেট কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছি। গভীর সমুদ্রে এফএআরইউ করতে আমরা এই চুক্তি করতে যাচ্ছি।
বাংলাদেশের ৭০ শতাংশের মতো বিনিয়োগ মার্কিন কোম্পানিগুলো করছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ভবিষ্যতে আরও বেশি প্রত্যাশা করছি। তারাও সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলো এরই মধ্যে আমাদের সঙ্গে প্রায় ত্রিশ বছর ধরে অংশীদারিত্বে আছেন- এমন তথ্য জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ১৩ বছর ধরে তারা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সঙ্গে কাজ করছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য শেভরন, আমাদের প্রায় ৬৪ শতাংশ গ্যাস তারা উত্তোলন করছে। আমাদের গ্যাসক্ষেত্র থেকে আমাদের সরবরাহ করছে ঠিকাদার হিসেবে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আমরা আরও কী ধরনের বিনিয়োগ পেতে পারি, তা নিয়ে মার্কিন-বাংলাদেশ চেম্বার দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সঙ্গে কাজ করছে। বাংলাদেশে তাদের কী কী সুযোগ আছে, তা দেখছেন। তাদের বলেছি, আগামী ১৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে আরও প্রায় ৭৫ বিলিয়ন ডলারের মতো বিদেশি বিনিয়োগ আমরা আশা করছি। বিশেষ করে উন্নয়ন অংশীদারদের কাছ থেকে আমরা এই প্রত্যাশা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৭:৪৩ ৮৫ বার পঠিত