কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কেওআইসিএ) জাতীয় পেনশন প্রকল্পের কার্যকর ব্যবস্থাপনার জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আজ সচিবালয়ে অর্থ বিভাগের পাঁচজন উচ্চ-পর্যায়ের কর্মকর্তার জন্য একটি ওরিয়েন্টেশনের আয়োজন করে। নাগরিকদের পেনশনের আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পটি চালু করেছেন।
কেওআইসিএ আজ এ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে জ্ঞান বিনিময়, দক্ষতা বৃদ্ধি ও সর্বোত্তম অনুশীলন গ্রহণকে উৎসাহিত করার জন্য পাঁচজন কর্মকর্তা দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একটি বিস্তৃত প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নত পেনশন ব্যবস্থাপনা অনুশীলন ও প্রশাসনিক কৌশলগুলি সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা লাভ করে প্রশিক্ষণার্থীরা যেন নিজস্ব সিস্টেমের মধ্যে ইতিবাচক সংস্কার করতে পারে- সে লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামটি সাজানো হয়েছে।
কোরিয়ান ন্যাশনাল পেনশন পরিষেবা হল বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম, ৮০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্পদের ব্যবস্থাপনা। এটি জাতীয় পেনশনের নিরাপদ এবং সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য একটি অত্যাধুনিক সিস্টেমে সজ্জিত।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে কেওআইসিএ’র ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর কাং, হিউন সুহ বলেন, কেওআইসিএ একটি মধ্যম-আয়ের দেশের অর্থনৈতিক মর্যাদা অর্জনে ‘কল্যাণ রাষ্ট্র’ হতে বাংলাদেশের উচ্চাকাক্সক্ষী যাত্রার অংশ হতে পেরে আনন্দিত। তিনি আশার কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, কেওআইসিএ’র সিআইএটি (ক্যাপাসিটি ইম্প্রুভমেন্ট অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট ফর টুমরো) প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশে কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং জ্ঞান দিয়ে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে পেনশন স্কিম ব্যবস্থাপনার মান উন্নয়ন করে এর নাগরিকদের উপকৃত করাই এই প্রোগ্রামের লক্ষ্য।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের একটি সরকারি সাহায্য সংস্থা হিসেবে, কেওআইসিএ ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য কোরিয়ার অনুদান সহায়তা এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বাস্তবায়ন করে আসছে।
প্রতি বছর, সিআইএটি প্রোগ্রামের অধীনে, কেওআইসিএ বাংলাদেশের সরকারী কর্মকর্তাদেরকে আমন্ত্রণমূলক প্রশিক্ষণ ও বৃত্তি প্রদান করে- যাতে তারা শীর্ষস্থানীয় কোরিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে সংক্ষিপ্ত কোর্স, পিএইচডি ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫৬:৪৫ ৪৬ বার পঠিত