এক মাসেরও কম সময়ে ইন্টার মায়ামিকে প্রথমবারের মতো লিগস কাপের শিরোপা জিতিয়েছেন লিওনেল মেসি। এমন অর্জনের রেশ না কাটতেই ক্লাবটির সামনে সুযোগ ছিল টানা দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের। তবে সেই সুযোগ লুফে নিতে ভুল করেনি মায়ামি। ইউএস ওপেন কাপের সেমি ফাইনালে সিনসিনাটি এফসির বিপক্ষে নাটকীয় জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে মেসির দল।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সিনাটির টিকিউএন স্টেডিয়ামে দুইবার পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্তভাবে ফিরে আসে মায়ামি। অতিরিক্ত সময়ের পরও ৩-৩ গোলে সমতা থাকায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে ইন্টার মায়ামির জয় ৫-৪ ব্যবধানে। এই জয়ে লিগস কাপের পর এবার ইউএস ওপেন কাপের শিরোপা জয়ের হাতছানি মেসিদের সামনে। এই ম্যাচে গোল না পেলেও দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন মেসি।
ম্যাচের শুরু থেকেই নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারছিল না মায়ামির খেলোয়াড়রা। ম্যাচের দশম মিনিটে মেসির পাস থেকে বল পেয়ে যান জর্ডি আলবা। যদিও তিনি রক্ষণকে ফাঁকি দিয়ে গোল অভিমুখে শট নিতে পারেননি। ম্যাচের ১২তম মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে একক প্রচেষ্টায় ডি বক্সের ভেতর ঢুকে পড়েন মেসি। তবে কোনোমতে মেসিকে আটকে দলকে রক্ষা করেন হগলান্ড।
মায়ামি গোল করতে ব্যর্থ হলেও গোল পেতে দেরি হয়নি সিনসিনাটির। ম্যাচের ১৮তম মিনিটে মায়ামির রক্ষণের ভুলে দলকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেননি সিনসিনাটির ফরোয়ার্ড লুসিয়ানো অগাস্টো। ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে মায়ামি।
ম্যাচের ৪০তম মিনিটে মেসির কর্নার থেকে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন মোতা, তবে সিনসিনাটি গোলরক্ষক কানকে ফাঁকি দিতে পারেননি তিনি। যার ফলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় সিনসিনাটি।
বিরতি থেকেই ফিরে সমতায় ফেরার বদলে ফের ধাক্কা খায় মায়ামি। এবার কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ম্যাচের ৫৩তম মিনিটে ব্যবধান ২-০ করেন ব্র্যান্ডন বাসকুয়েজ। ম্যাচের ৫৭তম মিনিটে ফের একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে ডি-বক্সে প্রবেশের চেষ্টা করেও সফল হতে পারেননি মেসি। ম্যাচের বেশিরভাগ সময় মেসিকে আটকে রেখেছে সিনসিনাটির রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা।
তবে ম্যাচের ৬৭তম মিনিটে ব্যবধান কমায় মায়ামি। মেসির ফ্রি কিক থেকে লিওনার্দো কাম্পানা দুর্দান্ত এক হেডে বল জালে জড়ান। ৭০তম মিনিটে ফ্রি কিক থেকে ফের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল সিনসিনাটির। তবে গোলরক্ষক কালান্ডারের দুর্দান্ত সেভে সে যাত্রায় রেহাই পায় মায়ামি। বাকি সময়ে গোলের জন্য একের পর এক চেষ্টা করতে থাকে মায়ামি। দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত সময়ে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান মার্টিনেজ।
যার ফলে নির্ধারিত সময়ে ফলাফল না আসায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে মাত্র চার মিনিটের ব্যবধানে নিজের জোড়া গোল পূরণের পাশাপাশি দলকে তৃতীয় গোলের স্বাদ দেন কাম্পানা। ৩-২ ব্যবধানে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল মায়ামি, তবে ১১৪তম মিনিটে ফের সমতায় ফেরে সিনসিনাটি। দলটির হয়ে গোল করেন কুবো। এরপর নির্ধারিত ১২০ মিনিট সময়েও ফলাফল না আসায় টাইব্রেকারে গড়ায় খেলা। যেখানে সামর্থ্যের প্রমাণ দেন মায়ামির খেলোয়াড়রা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:১০:০০ ৫১ বার পঠিত