ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরাই হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের সৈনিক।
তিনি বলেন, তাদেরকে দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে তৈরি করতে ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা উপযোগী প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অপরিহার্য। এ লক্ষ্যে একাডেমিয়া ও ইন্ডাস্ট্রি’র সমন্বিত উদ্যোগে বর্তমান কর্মজীবনের উপযোগী প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রবর্তনের বিকল্প নাই।
মন্ত্রী আজ শনিবার রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন হলে ন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সার কনফারেন্স’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার ইন্টারনেটকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জ্ঞানভান্ডার আখ্যায়িত করে বলেন, জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হবে। ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন যোগাযোগ দক্ষতা অর্জন। ভাষা কেবল একটি বাহন বলে উল্লেখ করেন কম্পিউটারে বাংলাভাষার এই উদ্ভাবক।
তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে উপযুক্ত পরিবেশ এবং সুযোগ দিতে পারলে তাদের পক্ষে ভাল সুফল অর্জন করা সম্ভব। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী উদাহরণ হিসেবে বলেন, ফ্রিল্যান্সার প্রশিক্ষণের সুযোগ কাজে লাগিয়ে মধুপুরের দুর্গম পাহাড়ের গায়রা গ্রামের একজন তরুণ গোটা এলাকার জীবন ধারা পাল্টে দিয়েছে। তাদের উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবস্থা করে দেওয়ার পর ওই গ্রামের তিন শতাধিক ছেলে মেয়ে প্রত্যন্ত পাহাড়ে বসে প্রতিমাসে কয়েক হাজার ডলার আয় করছে। একই অবস্থা সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার আহমেদপুর গ্রামে। হাওরের এই প্রত্যন্ত গ্রামে এখন ৪৮জন প্রোগ্রামার আউট সোর্সিংয়ে প্রোগ্রাম তৈরি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে।
শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে এক বছরের পাঠক্রম শিক্ষার্থীরা অনায়াসে তিন মাসে শেষ করতে পারছে।
তিনি বলেন, প্রচলিত পেশা কিংবা বাবা দাদাদের পেশা নিয়ে ভবিষ্যতে টিকে থাকা যাবে না। তাই, ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য আবশ্যক।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নতুন লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ার চুড়ান্ত পদক্ষেপ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্ব ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।’
অনুষ্ঠানে নেক্সট ভেঞ্চারের সিইও সৈয়দ আবদুল্লাহ জায়েদ বক্তৃতা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:১৭:৪৮ ৮১ বার পঠিত