বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি বলেছেন, স্বাধীনতা পরবর্তী দেশকে এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধু অনন্ত চেষ্টা করেছেন। দেশের প্রতিটি উন্নয়নে তিনি ছিলেন আপসহীন। কিন্তু মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশবিরোধীদের ষড়যন্ত্র তখনো থামেনি। দেশের উন্নয়নকে থামিয়ে দিতে তারা নতুন কূটকৌশল তৈরি করে। হত্যা করা হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আজ তিনি নেই কিন্তু তার যোগ্য কন্যা দেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্নপূরণে প্রধানমন্ত্রী নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর টিসিবি অডিটরিয়ামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আজ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধুকে ঘাতকরা সপরিবারে হত্যা করেছিল। আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে সেদিনের কথা স্মরণ করতে চাই। সেদিন যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে চাই। তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার রূপকার শেখ মুজিবুর রহমান। সারাজীবন তিনি এদেশের মাটি ও মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন।
তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে জাতির জনকের অবদান অপরিসীম। ৭ মার্চ তার ভাষণের মধ্য দিয়ে এ দেশের জনগণ জেগে উঠেছিল। বঙ্গবন্ধুর সেদিনের আহ্বান- ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’- এ আহ্বানে জেগে উঠেছিল মুক্তিকামী মানুষ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান বলেন, এই দিন আমাদের সব স্বপ্ন খুন হয়ে গিয়েছিল। সব অর্থেই বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশ। প্রায় সাড়ে তিন বছরে তিনি দুইশর বেশি আইন করে গিয়েছিলেন। একটি প্রাদেশিক সরকারকে কেন্দ্রীয় সরকারে পরিণত করেছেন। তিনি কৃষিতে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। কৃষি গবেষণায় প্রায় সব প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধুই করেছিলেন। তিনি আমাদের জন্য স্বপ্নের বীজবপন করে গিয়েছিলেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বঙ্গবন্ধুর মাত্র ৫৫ বছরের জীবন। তিনি আজীবন বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। যেখানেই বৈষম্য সেখানেই তিনি প্রতিবাদ করেছেন। তিনি সবসময় শোষণ বঞ্চনার কথা বলেছেন। তিনি পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে আপসহীন লড়াই করেছেন। তিনি সাম্যের ভিত্তিতে অর্থনীতিকে গড়তে চেয়েছিলেন। অর্থনীতিতে তিনি একটি বিপ্লব এনে দিয়েছিলেন। তিনি ব্যক্তি ও রাষ্ট্রীয় মালিকানার পাশাপাশি সমবায়কে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে আমরা কৃষি সমবায় করতে পারিনি। এতে সম্পদের বৈষম্য কমবে।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অধিদপ্তরের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫৯:২১ ৪৮ বার পঠিত