চট্টগ্রামের লালদীঘি এলাকার সোনালী ব্যাংকে ঢুকে অভিনব কায়দায় টাকা চুরির ঘটনায় তিন চোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ৩০ জুলাই দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সোনালী ব্যাংক লালদীঘি শাখায় এ ঘটনা ঘটে। এরপর গ্রাহক কৃষক কাঞ্চন মজুমদার বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।এরপর ৭ আগস্ট ব্যাংকের সিসি টিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরা থেকে তিন চোরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন, ঢাকার ওয়ারী থানার নবাবপুর ১৩ নম্বর লাল চান মুকিম লেনের আবুল কালাম (৭০), খুলনার বটিয়াঘাটা থানাধীন কাতিয়া নেংড়া গ্রামের মো. হারুন অর রশিদ ওরফে ইকবাল (৪৫) ও আমতলা গ্রামের মো. রিপন গাজী (৪০)।
কোতোয়ালি থানার এসআই মারুফ বিন আব্দুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানা গেছে, বাদী কাঞ্চন মজুমদার পেশায় একজন কৃষক। লালদিঘীরপাড় সোনালী ব্যাংক লালদিঘী করপোরেট শাখায় তার ডিপিএস একাউন্টারের মেয়াদপূর্তি হওয়ায় গত ৩০ জুলাই দুপুর ১২টার দিকে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের লালদিঘী করপোরেট শাখার এসে ৭নং কাউন্টার থেকে দুই লাখ ৯ হাজার ৮০ টাকা বুঝে নেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ৮নং কাউন্টারের সামনে টাকা গণনার সময় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তার বাম পাশে টাকা পড়ে গেছে বলে জানায়। তিনি টাকা তুলতে গেলে ওই ব্যক্তি কাউন্টারের বক্সে রাখা তার তিনটি ৫০০ টাকার বান্ডিলে দেড় লাখ টাকা নিয়ে ব্যাংক থেকে বের হয়ে যায়। পরে তিনি ওই টাকা কাউন্টারের আশপাশেসহ সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও পাননি।
পরে এ ঘটনায় কাঞ্চন মজুমদার কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ ব্যাংকের সিসি টিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে ৭ আগস্ট লক্ষ্মীপুরের রায়পুরা থেকে ঘটনার মূলহোতা আসামি আবুল কালাম, রিপন গাজী ও হারুনুর রশিদ ইকবালকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের হেফাজত হতে চুরি যাওয়া দুই হাজার ৫৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার আবুল কালামের বিরুদ্ধে ঢাকা, গোপালগঞ্জ, জামালপুর, ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন থানায় চারটি মামলা এবং রিপন গাজীর বিরুদ্ধে খুলনার রুপসা থানা ও লবণচরা থানায় দুটি মামলা বিজ্ঞআদালতে চলমান আছে।
এসআই মারুফ বিন আব্দুল্লাহ জানান, আসামিরা ৩/৪ করে গ্রুপ করে বিভিন্ন সরকারি ব্যাংকে গ্রাহক সেজে প্রবেশ করে। ব্যাংকে প্রবেশ করার পর যারা ব্যাংকে টাকা জমা দিতে যায় এবং ব্যাংক হতে টাকা উত্তোলন করে তাদের মধ্য থেকে সহজ সরল ধরনের ব্যক্তিকে টার্গেট করে। ওই ব্যক্তিকে বিভিন্ন কথা বলে অথবা টাকা পড়ে গেছে বলে ব্যস্ত রাখে। এরপর সুযোগ বুঝে একজন টাকা নিয়ে গ্রাহক সেজে ব্যাংক হতে চলে যায়। পরবর্তীতে বাকিরাও চলে যায়। গ্রেফতার আসামিদের বিজ্ঞআদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৩৬:৩০ ৪৫ বার পঠিত