বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ গ্যালারিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, প্রামণ্যচিত্র প্রদর্শন, বাণী পাঠ ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
“মহীয়সী বঙ্গমাতার চেতনা, অদম্য বাংলাদেশের প্রেরণা”-শ্লোগানে উদযাপিত অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং একটি প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। তাঁর জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা করেন উপ-হাইকমিশনের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) তুষিতা চাকমাএবং প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) মো. শামসুল আরিফ।
এ ছাড়া কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম রাষ্ট্রপতির বাণী, কাউন্সেলর (কনস্যুলার) এএসএম আলমান হোসেন প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন শেখ মারেফাত তারিকুল ইসলাম (দ্বিতীয় সচিব, রাজনৈতিক)।
সমাপনী বক্তব্যে উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলানুত নেছা মুজিব পরস্পর পরিপূরক ও অবিচ্ছেদ্য। বাঙালি জাতির ত্রাণকর্তা হয়ে ওঠার নেপথ্য সারথি হলেন বঙ্গমাতা। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সময় কারাগারে অন্তরীণ থাকার সময় বঙ্গমাতা শুধু পরিবারেরই হাল ধরেননি, তিনি আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে পরোক্ষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও পালন করেছেন।
সবশেষে বঙ্গমাতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২:২১:১২ ৪৪ বার পঠিত