নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন আজ যথাযথভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে। মিশন দিবসটি পালন উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠান, তথ্যচিত্র প্রদর্শন এবং শহিদ শেখ কামালের আত্মার এবং বাংলাদেশের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করে।
ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান চ্যান্সারি প্রাঙ্গণে ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে দেয়া রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণীও পাঠ করে শোনানো হয়। পরে হাইকমিশনার চ্যান্সারির বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে শেখ কামালের জীবন ও কর্মের ওপর এক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।
রহমান তার বক্তৃতায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর খেলাধুলা, শিল্প ও সঙ্গীতের ক্ষেত্রে তার অসাধারণ নেতৃত্বের গুণের কথা তুলে ধরে শহিদ শেখ কামালের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি (শেখ কামাল) তার সমস্ত গুণাবলী তার পরিবার থেকে পেয়েছেন এবং এই গুণাবলী তার ব্যক্তিগত, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় কমান্ডার-ইন-চিফ জেনারেল এম এ জি ওসমানীর এডিসি থাকাকালে শেখ কামালের ভূমিকার কথা স্মরণ করে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কাল রাতে তার জীবন সংক্ষিপ্ত হয়ে গেলেও, শহিদ শেখ কামাল তার স্বল্প জীবনে একজন আদর্শ বাঙালি হিসেবে তার উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে গেছেন।
মিশনের মিনিস্টার (কনস্যুলার) সেলিম মো. জাহাঙ্গীর অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
কলকাতা, মুম্বাই, আগরতলা এবং গোয়াহাটিতে বাংলাদেশের উপ এবং সহ হাইকমিশনেও শহিদ শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী বিভিন্ন কর্মসূচিতে পালিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০:২৯:৫৫ ৪২ বার পঠিত