টাঙ্গাইলের সখীপুরে চাচা-ভাতিজাকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মোস্তফা ও আলামিন ঢাকা ও গাজীপুরে পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হয়নি। দুজনকেই গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন।
র্যাব জানায়, সমিতি থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়েছিলেন মোস্তফা। আর সেই টাকা পরিশোধ করতেই বেছে নেন ছিনতাইয়ের পথ। সঙ্গী করেন বিদেশফেরত আলামিনকে। মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসায়ী শাহজালাল লক্ষাধিক টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছেন, এমন নিশ্চয়তা থেকেই হামলা করেন তারা। এ সময় সঙ্গে চাচা মজনু মিয়াও ছিলেন। দুজনকে হত্যার পর শরীরে তল্লাশি চালিয়ে পান মাত্র ৬০০ টাকা।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, মোটরসাইকেল চলন্ত অবস্থায় তারা শাহজালালের মাথায় আঘাত করে। এতে শাহজালাল মাটিতে পড়ে যায়। তখন শাহজালালের সঙ্গে থাকা চাচা মজনু চিৎকার করলে আলামিন মজনুর মাথায়ও আঘাত করে।
তিনি বলেন, তারা অনেকটা নিশ্চিত ছিল যে, তাদের কেউ শনাক্ত করতে পারবে না। তবে এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আসামিদের ধরতে কাজ শুরু করে। এরই ফলে তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ঘটনার পর নিহতদের সঙ্গে থাকা একটি ফোন পাশের ডোবায় ফেলে দেয় এবং আরেকটি নিজেরা ব্যবহার করছিল। অভিযুক্তরা এর আগেও বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। মূল পরিকল্পনাকারী মোস্তফার বিরুদ্ধে একটি মামলাও রয়েছে বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৪৯:২৯ ৪৪ বার পঠিত