বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের ফেরত এনে সাজা কার্যকর করতে পারলে বাংলাদেশের ইতিহাস কলঙ্কমুক্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজশাহীর কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে তিনি একথা বলেন।
শোকাবহ আগস্টের মাসব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন ও শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এর আগে কর্মসূচিসমূহের মধ্যে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর স্বাভাবিক বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিম্ন আদালত থেকে সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত গিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত বেশ কিছু আসামি কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে, কেউ প্রকাশ্যে আছে, কেউ পলাতক আছে। যারা প্রকাশ্যে আছে তাদেরকে দেশে ফেরত আনতে সরকারিভাবে নানা প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু সে সমস্ত দেশ মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে নয় এই কথা বলে তারা খুনিদের ফেরত দেয়নি বিধায় তাদের শাস্তি কার্যকর হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের সাথে অন্য কোনো হত্যাকাণ্ডকে এক করে দেখা সমীচীন নয় বা দেখার সুযোগ নেই। সাজাপ্রাপ্ত খুনিদের দ্রুত ফেরত নিয়ে এসে সাজা কার্যকর করতে পারলে বাংলাদেশের ইতিহাস কলঙ্কমুক্ত হবে, সেটি আমাদের করতে হবে। তবে সেই দেশগুলো খুনিদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে সেই অর্থে সাড়া দেয়নি। আমরা মনে করি যে, জনমত তৈরি করে আমরা আমাদের দাবি আদায় করতে পারবো।’
বাংলাদেশ সময়: ১৬:০৮:৪৮ ৭৫ বার পঠিত