আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খবর পাচ্ছি সীমান্তের এপার থেকে অস্ত্র কিনছে তারা (বিএনপি)। চাঁপাইনবাবগঞ্জ তাদের (বিএনপির) অস্ত্র সরবরাহের একটি ঘাঁটি। আগ্নেয়াস্ত্র এনে তারা মজুত করছে।
কাদের বলেন, বিএনপি জানে গণশক্তি জনশক্তি নয়। তারা মনে করে অস্ত্রশক্তি হলো আসল শক্তি। যারা অস্ত্র দিয়ে ক্ষমতা আসে তাদের প্রতি জনগণের আস্থা থাকার কথা নয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সঙ্গে সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, এদেশে যারা ক্ষমতাসীন ছিল, এ মাটি থেকে, জনগণের কাছ থেকে, জনগণের সমর্থন নিয়ে, একজন কি ক্ষমতায় এসেছে? জিয়াউর রহমান বলেন, এরশাদ বলেন, আর খালেদা জিয়া তাদেরই উত্তরাধিকার। তাদের জনগণের ওপর আস্থা নেই। তারা জানে নির্বাচনের রেজাল্ট কী হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিদেশিদের কী করে বোঝাবো যে বিএনপি এমন একটা দল, সেই দলকে গ্যারান্টি দিতে হবে নির্বাচন হলে তারা জিততে পারবে? তাদের জয় সুনিশ্চিত। এ গ্যারান্টি না দিলে তারা কখনো চলমান নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি আস্থাশীল হবে না। আমাদেরও চোখ কান খোলা রাখতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা চাই সংঘাতমুক্ত, শান্তিপূর্ণ অবাধ সুষ্ঠু একটা নির্বাচন। এটা আমাদের জাতির কাছে প্রতিশ্রুতি। সেই লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে ইন্ডিপেন্ডেন্ট করেছি। শেখ হাসিনার কারণে নির্বাচন ব্যবস্থা আজকে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের অধীনে সাব অফিস নয়, নির্বাচন অফিস এখন একটা স্বাধীন অফিস। স্বাধীন নির্বাচনের জন্য পার্লামেন্টে একটি আইন পাস হয়েছে। এই ইনিশিয়েটিভ প্রধানমন্ত্রীর। এ একটা বিষয়ে, ২০০৯ পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী এই দুটি সময়কে মিলিয়ে দেখতে হবে। নির্বাচন ব্যবস্থা কারচুপি, জ্বালিয়াতির কোনো সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, একটা আন্তর্জাতিক সংবাদ দেখে অনেকে আনন্দিত, কম্বোডিয়া নিষেধাজ্ঞা হয়েছে। কম্বোডিয়া বিরোধীদল অংশ নেয়নি সেজন্য নিষেধাজ্ঞা হয়েছে। এখানেও যদি বিরোধী দল অংশ না নেয়, সেটা কার অপরাধ? আমরা তাদের সাহায্যও বন্ধ করে দিয়েছি। এতদিন যার মুখ-চোখ শুকিয়ে শুকিয়ে গিয়েছিল, এখন আবার গলায় পানি এসেছে। ফখরুলের গলা এখন অনেক পানি। দেখতে মনে হয় অনেক ভালো মানুষ অথচ মুখে এতো বিষ। কি বাজে ভাষায় বক্তৃতা করে।
বিএনপির সাত জেলা সমাবেশ আর আমাদের সাত উপজেলা সমাবেশ, সাত উপজেলা আর সাত জেলা, পার্থক্যটা দেখবেন। সবাই দেখেছে। এটা হল শেখ হাসিনার উন্নয়নের প্রতি আস্থার একটা নিদর্শন।
আর ফেলায় ফেলায় সময় কাটানোর সুযোগ নিয়ে জানি ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন থেকে আর নিষ্ক্রিয় থাকার সুযোগ নেই। নির্বাচন পর্যন্ত সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। সংঘাত আমরা করব না। আমরা মাঠে সতর্ক থাকবো। সংঘাত যারা করতে আসে তাদের আমরা প্রতিহত করব। তারা খালি মাঠ পেলে সংঘাত করবে এটা সবাই জানে। সেই প্রস্তুতি তারা নিচ্ছে।
এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ ফারুক খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মহিউদ্দিন জালাল, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদাল চৌধুরী, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৩৪:৩৪ ৪০ বার পঠিত