ব্রিকস নিয়ে জাপানের সঙ্গে সম্পর্কে ভাটা পড়বে না: টিপু মুনশি

প্রথম পাতা » অর্থনীতি » ব্রিকস নিয়ে জাপানের সঙ্গে সম্পর্কে ভাটা পড়বে না: টিপু মুনশি
রবিবার, ২৩ জুলাই ২০২৩



ব্রিকস নিয়ে জাপানের সঙ্গে সম্পর্কে ভাটা পড়বে না: টিপু মুনশি

ব্রিকসে বাংলাদেশ যোগ দিক বা না দিক; এ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের বাণিজ্যিক সম্পর্কে যাতে ভাটা না পড়ে সেদিকে সর্বোচ্চ জোর দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

রোববার (২৩ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ-জাপান ইকনোমিক রিলেশনস ফর দ্য নেক্সট ফিফটি ইয়ার্স: ফর দ্য ইন্ডাস্ট্রি আপগ্রেডেশন অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী বলেন, ‘জাপান জি-৭ এর সদস্য, অন্যদিকে বাংলাদেশ আগস্টে ব্রিকসের সদস্য হতে পারে।’

তবে বাংলাদেশ যদি ব্রিকসের সদস্য হয় তাহলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে কী প্রভাব পড়বে এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন,

এটি মূলত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিষয়। কিন্তু বাণিজ্যের জায়গা থেকে এ কথা হলফ করে বলা যায়, জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বের ভিত অনেক পুরনো ও শক্তিশালী। কোনো কিছুকে কেন্দ্র করে দুই দেশের বাণিজ্যে যাতে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে; সেদিকে সর্বোচ্চ খেয়াল রাখা হবে।

বাজার এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম কমলেও; দেশীয় বাজারে এর প্রয়োগ হতে সময় লাগবে। ইতোমধ্যে তেলের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে প্রতিটি পণ্যের দাম সমন্বয় করা হবে।

যারা পণ্য মজুত করে বা দাম বৃদ্ধির পেছনে সিন্ডিকেট হিসেবে কাজ করে তাদের ফৌজদারি শাস্তির আওতায় আনা হবে কি না প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত এটি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে। আর শাস্তি কার্যকর করতে কিংবা কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রয়োজনীয় লোকবল দরকার, যার ঘাটতি রয়েছে। এরমধ্যেও ভোক্তা অধিকারের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো যতটা সম্ভব নজরদারি করছে।’

দক্ষ জনশক্তির হাত ধরে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগোবে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন,

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানের হাতে সম্পদ বলতে ছিল তাদের জনশক্তি। এর বাইরে জাপানের কিছুই ছিল না। সেই জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে জাপান এতদূর এসেছে। এখান থেকে বাংলাদেশের অনেক কিছু শেখার আছে।

দেশে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার গুরুত্ব উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, ‘দেশের জনশক্তি যত দক্ষ হবে, বাইরে থেকে তত বেশি বিনিয়োগ আসবে। প্রযুক্তি এবং দক্ষতার সমন্বয়ে এমন একটি জনশক্তি গড়ে তোলা হবে; যা দেশের প্রবৃদ্ধির জন্য সহায়ক হবে। জনশক্তি দক্ষ হলে, কম সময়ে বেশি ফলাফল আসতে বাধ্য।’

জাপানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ব্যাখ্যা দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এশিয়ার মধ্যে ভারতের পরেই বাংলাদেশের বৃহৎ রফতানি বাজার জাপান। গত বছর জাপানে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ ছিল প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার। ২০২৬ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন করে উন্নয়নশীল দেশে উন্নত হবে। এক্ষেত্রে জাপানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই।’

বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণির সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে বিকাশমান একটি মধ্যবিত্ত শ্রেণি তৈরি হচ্ছে। এতে করে একদিকে বড় হচ্ছে ভোক্তা বাজার, অন্যদিকে বাড়ছে দক্ষ জনশক্তির সংখ্যা। জাপানের বিভিন্ন কোম্পানি চাইলে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে পারে।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ূন, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, জাপানের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ইয়াসুতুসি নিশিমুরা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:৩২:১২   ৫৫ বার পঠিত  




অর্থনীতি’র আরও খবর


ইউরোপে পোশাক রপ্তানিতে সুবাতাস
পুঁজিবাজারে অস্থিরতার জন্য রেগুলেটরদের দায়ী করলেন অর্থ উপদেষ্টা
কর ছাড়ের সুবিধা প্রসঙ্গে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
বাতিল হচ্ছে ৫৭ লাখ টিসিবি কার্ড, জানালেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
নতুন সূচক যুক্ত করে মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে অর্থনৈতিক শুমারি



আর্কাইভ