চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, গ্রামীণ দরিদ্রদের নিয়ে যতটা আলোচনা হয় নগর দরিদ্রদের নিয়ে সে তুলনায় আলোচনা অনেক কম হয়। অথচ পরিবর্তিত জলবায়ু আর করোনার আঘাতের প্রেক্ষিতে নদী ভাঙনে ঘর হারিয়ে, কর্মসংস্থানের সুযোগ হারিয়ে অনেকেই চট্টগ্রাম শহরে আশ্রয় নিচ্ছে। এই শ্রেণীর মানুষের কর্মসংস্থান ও জীবনমানের উন্নয়ন চট্টগ্রামের বড় চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে আয়োজিত নগর দরিদ্র উন্নয়নে ‘সুদিন’ কর্মসূচি সম্পর্কে অবহিতকরণ সভায় মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এ মন্তব্য করেন।
সাজেদা ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমে চসিকের সার্বিক সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেন মেয়র। সভাপতির বক্তব্যে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম প্রান্তিক শ্রেণীর ভাগ্যবদলে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সেবার বহুমুখীকরণে গুরুত্বারোপ করেন।
সাজেদা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র উপদেষ্টা মো. ফজলুল হকের স্বাগত বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে সভা আরম্ভ হয়। এ সভার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল : চট্টগ্রামের বস্তি, ঝুঁপড়ি ও পথবাসীর জন্য কাজ করার লক্ষ্যে সাজেদা ফাউন্ডেশনের ‘সুদিন’ কার্যক্রমের সাথে চসিকের সমন্বয়। সাজেদা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে সুদিন কর্মসূচি ঢাকা, গাজীপুর, চাঁদপুর এবং চট্টগ্রাম শহরের অতি-দারিদ্র বিমোচনে কাজ করে চলছে।
সাজেদা ফাউন্ডেশনের শহরের দারিদ্র বিমোচনে দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে সুদিন কর্মসূচির সৃষ্টি এবং এটি অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যকার বৈচিত্রকে মাথায় রেখে সাজানো হয়েছে। সুদিন অতিদরিদ্র ব্যক্তি এবং পরিবার উভয়ের জন্য সঠিক সময়ে সঠিক উদ্যোগ নেওয়ায় বিশ্বাসী। ‘কেসওয়ার্কার’ এপ্রোচের মাধ্যমে জনগোষ্ঠীর কাছে বিভিন্ন সেবা যথাযথভাবে পৌঁছে দিতে সুদিন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। অতি দরিদ্র পরিবারের মাথাপিছু আয় দারিদ্রসীমার উপরে উঠিয়ে আনতে সুদিনের কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে আর্থিক অবস্থা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক কার্যক্রম ও সার্ভিস ইন্টিগ্রেশন।
সভায় অংশ নেন কাউন্সিলর হাজী নুরুল হক, গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, মোহাম্মদ সলিম উল¬্যাহ বাচ্চু, মো. নুরুল আমীন, আবদুস সালাম মাসুম, পুলক খাস্তগীর, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নীলু নাগ, শাহীন আকতার রোজীসহ সাজেদা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাবৃন্দ।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৫৬:৩২ ৩৯ বার পঠিত