সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার কর্তৃক শিরিন আক্তার নামে এক নারী গ্রাহককে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাংকে তুলকালাম কান্ড ঘটে। পুলিশী হস্তক্ষেপে অপ্রীতিকর ঘটনা ও ব্যাংক ক্ষতির হাত হতে রক্ষা পায়। বুধবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে সোনালী ব্যাংক ঈশ্বরদী শাখায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিরিন আক্তার উপজেলার পৌর শহরের শেরশাহ রোড পূর্ব টেংরী এলাকার রাজিব হাসানের স্ত্রী এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সাবেক সদস্য মৃত আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে।
ভুক্তভোগী শিরিন জানান, পিতার কল্যাণ ফান্ডের ফরমে স্বাক্ষর করাতে দুই দিন যাবৎ ব্যাংকে ঘুরছিলেন তার মা। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নানা অজুহাতে ফরম স্বাক্ষর না করে তাদের হয়রানি করছিলো ম্যানেজার সাইদুল ইসলাম। গতকাল মঙ্গলবার মায়ের সাথে ফরম নিয়ে আবারও ব্যাংকে আসেন শিরিন। ফরম নিয়ে ম্যানেজার রুমে গেলে ফরমে স্বাক্ষর করার এক পর্যায়ে ম্যানেজার সাইদুল ইসলাম তাকে অশালিনভাবে অশ্লীল কথা বলে এবং কু-প্রস্তাব দেয়। ম্যানেজারের প্রস্তাবে রাজি না হলে ফরমে স্বাক্ষর করবেন না বলেও জানান ম্যানেজার। পরে কৌশলে ফরমে স্বাক্ষর না করিয়ে চলে যান শিরিন। বুধবার (১২ জুলাই) আবারও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ব্যাংকে আসেন শিরিন। ফরম নিয়ে ম্যানেজারের রুমে গেলে পুনরায় তাকে কু-প্রস্তাব দেয় সাইদুল। সেইসাথে বাসায় গিয়ে মোবাইলে ভিডিও কল দিতে বলেন ম্যানেজার।
ম্যানেজারের কু-প্রস্তাব নিয়ে ভাষা সংযত করে কথা বলতে বললে সে উত্তেজিত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে ব্যাংকে উপস্থিত জনতা ও ব্যাংক কর্মচারীরা থামানোর চেষ্টা করেন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পরে ভুক্তভোগী শিরিন বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঈশ্বরদী অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ব্যাংকে সিসিটিভি ফুজেট দেখে ঘটনার সত্যতা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
তবে এসব বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হন নি ব্যাংক ম্যানেজার সাইদুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ৯:৩৩:৩০ ২৫৫ বার পঠিত