জেলার দাগনভূঞা উপজেলায় কৃষিতে আশা জাগাচ্ছে সমলয় পদ্ধতিতে ধান আবাদ। এ পদ্ধতিতে চাষের ফলে কমছে উৎপাদন খরচ ও শ্রম এবং এতে উৎপাদন বাড়ছে বলছেন কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, সমলয় পদ্ধতিতে বিস্তীর্ণ জমি একত্রিত করে একই সময়ে একই সঙ্গে আধুনিক যন্ত্র রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে চাষাবাদের আওতায় আনা হয়। ট্রে ও পলিথিনে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করা হয় বীজতলা। এই বীজতলা থেকে স্বল্পবয়সের চারা মূল জমিতে রোপণ করা হয়। চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের সমাসপুর গ্রামে ১০০ জন কৃষকের ৫০ একর জমিতে এমন সমলয় পদ্ধতিতে ধানের চাষাবাদ করা হয়েছিল।
স্থানীয় কৃষক আবুল কাশেম জানান, তিনি ২০০ শতক জমিতে প্রায় ১৮০ মণ ধান পাবেন। এ পদ্ধতিতে কৃষকের কষ্ট ও খরচও কমে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মহিউদ্দিন মজুমদার জানান, চলতি মৌসুমের জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে রাইস প্ল্যান্টার মেশিনের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছিল। এর আগে বিশেষ ট্রেতে চারা উৎপাদন করা হয়। আজ কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনের সাহায্যে ধান কেটে কৃষক ফসল ঘরে তুলছেন। এই পদ্ধতিতে শ্রমিক সংকট ও নানা প্রতিবন্ধকতা দূর হয়েছে। কমেছে উৎপাদন খরচও।
তিনি জানান, এ প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের জন্য বীজ ধান, চারা রোপণ, সার ও ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস। কৃষকরা শুধুমাত্র সেচের পানি ও চাষে পয়সা খরচ করেছে। এ কর্মসূচির আওতায় জমিতে যন্ত্রের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ থেকে কর্তন পর্যন্ত সব প্রক্রিয়া শেষ হবে। এতে উৎপাদন খরচ কমার পাশাপাশি ধান চাষে লাভবান হবেন কৃষক।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:২৫:৫১ ৬১ বার পঠিত