মিষ্টি পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। আর সেটা যদি হয় সুস্বাদু, তাহলে তো কথাই নেই। এমনই এক মিষ্টির নাম রাজবাড়ীর ‘ক্ষীর চমচম’। যার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে রাজবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
জানা যায়, মিষ্টি ব্যবসায়ীরা খামারিদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করে দীর্ঘসময় ধরে জ্বালিয়ে তা ছানায় রূপান্তর করে চমচম তৈরি করেন। এরপর তা মিষ্টির রসে বেশ কিছুক্ষণ চুবিয়ে রাখেন। আলাদাভাবে তৈরি শক্ত মাওয়া ভেঙে ক্ষীর বানিয়ে চমচমের ওপর প্রলেপ দিয়ে তৈরি করা হয় সুস্বাদু ‘ক্ষীর চমচম’।
মিষ্টি ব্যবসায়ী গৌর ঘোষ জানান, বর্তমানে দুধ, চিনির দাম ও কারিগরদের মজুরি বেশি হওয়ায় ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে রাজবাড়ীর জনপ্রিয় সুস্বাদু ‘ক্ষীর চমচম’। তবে যেকোনো উৎসব-পার্বণে দাম আরও বেড়ে যায়।
রাজবাড়ী শহরে বেশ কিছু মিষ্টির দোকান থাকলেও ভাদু সাহা, রাজবাড়ী মিষ্টি বাড়ি ও শংকর সাহার চমচম সর্বত্র পরিচিত। চমচমের পাশাপাশি ছানার সন্দেশ, কাটারিভোগ, কালো জাম ও রসমালাইসহ বিভিন্ন রকমের মিষ্টি এসব দোকানে তৈরি হয়।
মিষ্টি ক্রেতা পাবনার জলিল মোল্লা ও কুমার খালীর আ. মান্নান শেখ জানান, ভাদু সাহা, রাজবাড়ী মিষ্টি বাড়ি ও শংকর সাহার ‘ক্ষীর চমচম’ খুবই সুস্বাদু। তাই তারা পাবনা ও কুমারখালী থেকে ‘ক্ষীর চমচম’সহ অন্যান্য মিষ্টি নিতে এসেছেন।
রাজবাড়ী মিষ্টি বাড়ির স্বত্বাধিকারী গৌর চন্দ্র ঘোষ জানান, প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন ‘ক্ষীর চমচম’ কিনতে আসেন। তবে বাজারে চিনি, দুধ ও কারিগরদের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় মিষ্টি ব্যবসায় বর্তমানে খুব একটা লাভ হচ্ছে না। তার দোকানে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৪ মণ দুধের কাজ হয়। সামনে পূজা আছে। বেচাকেনা আরও বেশি হবে বলে আশা তার।
রাজবাড়ী জেলা স্যানিটারি পরিদর্শক সূর্য কুমার প্রামাণিক জানান, রাজবাড়ী শহরের ভাদু সাহা, শংকর সাহা ও রাজবাড়ী মিষ্টি বাড়ির মিষ্টির গুণগত মান ভালো ও সুস্বাদু। এসব দোকানের মিষ্টি রাজবাড়ী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২:০৭:০৩ ৪৮ বার পঠিত