বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা অনুসরণ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধিভুক্ত নতুন ১৮ ওয়ার্ডের সড়ক নেটওয়ার্ক সৃষ্টি করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
তিনি বলেন, ‘আমরা পরিকল্পিত নগরায়নের দিকে নজর দিয়েছি। এজন্য আমরা মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করছি এবং ইতোমধ্যে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় তা (ড্যাপে) অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সেটাকে অবলম্বন করে আমাদের নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের পুরো সড়ক ব্যবস্থাপনা বা সড়ক অন্তর্জাল (নেটওয়ার্ক) সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের প্রস্তুতি আমরা প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছি। আগামী অর্থবছরে আমরা এই নতুন ১৮টি এলাকায় বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় যে সড়কগুলো চিহ্নিত করা আছে, যেভাবে প্রশস্ততা চিহ্নিত আছে এবং আরএসটিপি’র মাধ্যমে যেভাবে চিহ্নিত আছে- এগুলো আমরা আমাদের পরিকল্পনার আওতায় নিয়ে এসেছি।’
আজ ডেমরার কয়েতপাড়া এলাকায় ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন শেষে মেয়র তাপস সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
রাজস্ব আয় বাড়ার কারণে নতুন ১৮ ওয়ার্ডের জন্যও নিজস্ব অর্থায়নে অনেক কাজ সম্পাদন করা সম্ভব হবে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ইতোমধ্যে আজকে পর্যন্ত এক হাজার কোটি টাকার ঊর্ধ্বে (রাজস্ব) আয় করেছে। সুতরাং এ কার্যক্রমগুলো (সড়ক প্রশস্তকরণ, নতুন সড়ক নির্মাণ) করতে এখন আমরা সাবলম্বী। নিজস্ব অর্থায়নে আমরা এখন অনেক কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। সে প্রেক্ষিতে আমাদের আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে ১৮টি ওয়ার্ডে সড়ক অন্তর্জাল (নেটওয়ার্ক) সৃষ্টি করতে আমরা আলাদা বাজেট বরাদ্দ রাখবো- যাতে করে এই কাজগুলো আমরা দ্রুত, আগামী অর্থবছরের মধ্যেই সম্পন্ন করতে পারি।’
ধাপে ধাপে সকল ওয়ার্ডের জন্যই বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণের কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে চলেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজ আমরা ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র উদ্বোধন করলাম। এর ফলে আর মাত্র ১২টি ওয়ার্ডে আমাদের অন্তবর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ কার্যক্রম বাকি রয়েছে। ইনশাআল্লাহ, ধাপে ধাপে আমরা সেটিও সম্পন্ন করতে পারব। দীর্ঘ ৫০ বছরে মাত্র ২৪টি বর্জ্য স্থানান্তরকেন্দ্র নির্মাণ হয়েছিল। এ যাবৎ আমরা সব মিলিয়ে ৬৩টি ওয়ার্ডের জন্য বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ সম্পন্ন করতে পেরেছি।’
এ সময় অন্যান্যের ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সুয়ে মেন জো, নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ শফিউল্লাহ সিদ্দিক ভুইয়া, কাউন্সিলরদের মধ্যে ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর সেলিনা খান ও মাহফুজা আক্তার হিমেল উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:০১:৩৫ ৩৭ বার পঠিত