
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও লিয়াজোঁ কমিটির প্রধান আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে সনদ সই করে নির্বাচনের পথে হাঁটার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে সবাইকে একমত হওয়ার চিন্তা হচ্ছে বাকশালী চিন্তা। এ চিন্তা-চেতনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কারণ, ভিন্ন ভিন্ন দলের ভিন্ন ভিন্ন দর্শন, চিন্তাভাবনা এবং ভিন্নমত থাকবে। বিষয়টা হচ্ছে, যেখানে ঐকমত্য হয়েছে তার বাইরে সংস্কার করার কোন সুযোগ নেই।’
আমির খসরু মাহমুদ বলেন, ‘ঐকমত্যের বাইরে কোনো কিছু করতে হলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসে করতে হবে।’
তিনি প্রশ্নচ্ছলে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো যে-সব বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছে, সেগুলো কেন জাতির সামনে তুলে ধরা হচ্ছে না! অলরেডি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে। অনেক দিন সময় চলে গেছে। আলোচনাও শেষ। তাই, জাতিকে জানান কোথায় ঐকমত্য হয়েছে। ঐকমত্যের বিষয়টি জাতি জানুক এবং এ ঐকমত্যের ভিত্তিতে সনদ সই করে আমরা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাই। এটা খুব সহজ ব্যাপার। এর বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।’
বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সাথে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকের ধারাবাহিকতায় আজ রোববার বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সাথে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বিএনপির পক্ষে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও লিয়াঁজো কমিটির প্রধান আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু অংশগ্রহণ করেন।
অপরদিকে বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থর নেতৃত্বে দলটির মহাসচিব মতিন সাউদসহ দশ জনের একটি প্রতিনিধি দল এ বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে, এক যৌথ ব্রিফিংয়ে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির প্রধান আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ছাড়াও বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ বক্তব্য রাখেন।
পার্থ বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের সরকার হলেও ভোটের মাধ্যমে জনগণের রায় নিয়ে গঠিত নির্বাচিত সরকার নয়। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে আমরা সব সময় এ সরকারের সাথে আছি, আগামীতেও থাকবো।’
তিনি বলেন, ‘আমরা গত বছরের ৭ আগস্ট থেকে সবসময়ই বলে এসেছি একটি নির্বাচনী রোডম্যাপ দরকার। কারণ, নির্বাচন অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ। আর সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া বড় ধরনের কোনো সংস্কার হলে সেই সংস্কার টেকসই হবে না।’
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩১:৫২ ৭ বার পঠিত