
দুই দিন ধরে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এ জেলার জনপদ। রোদের তাপ ও ভ্যাপসা গরমে কৃষক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশাচালকরা অস্থির হয়ে পড়ছেন।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ২৮ শতাংশ।
জেলা আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, বয়ে যাওয়া মাঝারি তাপপ্রবাহ সাময়িক হলেও এর তীব্রতা আরো কয়েক দিন থাকতে পারে। গরম ও আর্দ্রতার সংমিশ্রণে বেড়ে গেছে হিটস্ট্রোকের আশঙ্কাও।
এ অবস্থায় শিশু, বৃদ্ধ এবং অসুস্থদের সতর্ক থাকতে এবং যথাসম্ভব রোদ এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এদিকে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কম থাকায় কিছুটা স্বস্তি মিলছে। তবে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গরমের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি অনুভূত হচ্ছে। জেলার মানুষ এখন স্বস্তির বৃষ্টির অপেক্ষায় কখন মিলবে সেই কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা দশমি পাড়ার ভ্যানচালক আবুল হোসেন ও আবুল কাসেম জানান, রোদ আর গরমে ভ্যান চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। যেমন রোদ সেই সঙ্গে রোডের পিচ গরম হয়ে গায়ে আগুনের মতো তাপ লাগছে রোদে চোখ মুখ ঝলসে যাচ্ছে। তার পরে রোদেও কারণে মানুষ ভ্যানে উঠছে না। সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা সামান্য পথ যেতে হলে ও তারা বাস অথবা ইজি বাইকে যাচ্ছে। তেমন ভাড়া হচ্ছে না এ অবস্থা চলতে থাকলে সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে যাবে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, আজ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:১৬:১৪ ৬ বার পঠিত