
জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জ একটি ঐতিহাসিক ও শিল্পনগরী। পূর্বাচলসহ নারায়ণগঞ্জের বিস্তৃত এলাকাগুলোকে সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে পরিচ্ছন্ন, আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব শহর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। এই লক্ষ্যে আপনাদের মত ইসলামী চিন্তাবিদ ও সমাজপ্রতিনিধিদের সক্রিয় অংশগ্রহণ দরকার।
সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে নারায়ণগঞ্জ হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন জেলা প্রশাসক।
সভায় তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার সীমান্তচিহ্ন গুলো আলাদা করে ‘স্বাগতম’ ও ‘ধন্যবাদ’ লিখে চিহ্নিত করা হচ্ছে, যেন জেলার গৌরব ও সীমানা স্পষ্টভাবে রক্ষা পায়।
সভায় জেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মুফতি মনির হোসেন কাসেমী বলেন, আমরা সবসময় যৌতুক, মাদক, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলি। কিন্তু সমাজে এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে ইমামদের ভূমিকা দুর্বল হয়ে পড়েছে। আজকে যদি প্রশাসন আমাদের পাশে থাকে, তাহলে আমরা গোপনে হলেও মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের তালিকা আপনাদের হাতে তুলে দিতে পারব।
সহ-সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বলেন, ৫ আগস্টের ঘটনার পর নারায়ণগঞ্জে হেফাজতের ভূমিকা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আমরা পুলিশ লাইন্স ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর সম্ভাব্য হামলার ছক ভেস্তে দিয়েছি সম্মিলিত উদ্যোগে। এখন চাইলে আমরা নারায়ণগঞ্জ শহরের চাঁদাবাজ, মাদক কারবারিদের সুনির্দিষ্ট তালিকা প্রশাসনকে দিতে পারব। নারায়ণগঞ্জ ছোট শহর হলেও কারা কোথায় কি করে তা আমাদের জানা। প্রশাসন যদি আন্তরিকভাবে কাজ করতে চায়, আমরা গোপনভাবে হলেও সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করব।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, খেলাফত আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মুফতি এহতেশামুল হক কাসেমী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা ওবায়দুল কাদের নদভী, হেফাজত ইসলাম জেলা সহসভাপতি মাওলানা কামাল উদ্দিন দাইমী, নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মুফতি হারুনুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা তাজুল ইসলাম আব্বাস প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৯:৪১ ৪ বার পঠিত