
দেশে আট হাজার চিকিৎসক সংকট রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, শিগগির বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে। আর সেটা আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে এসব চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া সম্ভব হবে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন,
আজকে আমরা হাসপাতালগুলো পরিচালনায় অংশ নিতে সম্মত হলাম। তবে এটার জন্য একটু সময় দরকার হবে। তবে আমাদের চেষ্টা থাকবে কত দ্রুত গতিতে সেবাটা সবার জন্য উন্মুক্ত করতে পারি।
তিনি বলেন, রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে সুবিধাটা পেতেন সেটা তো তারা পাবেনই। এই মুহূর্তে কোনো পরিবর্তন আমরা করতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন,
দেশে চিকিৎসকের ঘাটতি রয়েছে। তবে আশা করি, বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যে সেবাটা আছে সেটা অব্যাহত থাকবে। সেখানে কোনো পরিবর্তন হবে না।
এ সময়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে রেলওয়ে হাসপাতালগুলো সুষ্ঠু ও যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালনায় রেলপথ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়। সমঝোতা স্মারকে সই করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। বাংলাদেশ রেলওয়ের দশটি হাসপাতাল পরিচালনায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সঙ্গে এ চুক্তি হয়েছে। এ হাসপাতালগুলো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
এর মধ্যে রয়েছে- ঢাকার রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল এবং রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রামের রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল, সিআরবি চট্টগ্রামের বক্ষব্যধি হাসপাতাল, হালিশহরের সিজিপিওয়াই (চট্টগ্রাম পোর্ট ইয়ার্ড) হাসপাতাল, রাজশাহীর বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল, রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের পাকশীর বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল, সৈয়দপুরের বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল, লালমনিরহাটের বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল, পার্বতীপুরের বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল ও সান্তাহারের বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল রেলওয়ে এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ যৌথভাবে পরিচালনা করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩২:৫৯ ৫ বার পঠিত