
বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভক্তদের জন্য পিএসএলে এবারে বিশেষ নজর থাকছে লাহোর কালান্দার্সের দিকে। দুইবারের পিএসএল চ্যাম্পিয়নদের ডেরায় আছেন বাংলাদেশের স্পিনার রিশাদ হোসেন। আগ্রহের জায়গাটা সেখানেই। যদিও ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে রিশাদ হোসেন জায়গা পাননি একাদশে। তার দলও হেরেছে ম্যাচটা।
ম্যাচের বড় নাম জেসন হোল্ডার। উদ্বোধনী ম্যাচে লাহোরের আবদুল্লাহ শফিকের ৬৬ রান কিংবা ইসলামাবাদের কলিন মুনরোর ৫৯ রান ছাপিয়ে বড় ছিল ক্যারিবিয়ান পেসারের ২৬ রানে ৪ উইকেট শিকারের ঘটনা। লাহোর কালান্দার্সকে ১৩৯ রানে আটকে রাখার মূল কৃতিত্বটা জেসন হোল্ডারেরই।
গতকালই প্রথমবার পিএসএলে খেলতে নামা জেসন হোল্ডার তার দুর্দান্ত বোলিং ফিগারের সুবাদে গড়েছেন নতুন রেকর্ড। পিএসএলে নিজের অভিষেক ম্যাচে যেকোন বিদেশি খেলোয়াড় সাপেক্ষে সেরা বোলিং ফিগার এখন ক্যারিবিয়ান এই পেসারের। এর আগে আরও তিনজন নিজেদের অভিষেক ম্যাচে ৪ উইকেট শিকার করলেও তারা প্রত্যেকেই ছিলেন পাকিস্তানি।
জেসন হোল্ডারের আগে পিএসএল অভিষেকেই ৪ উইকেট ছিল মোহাম্মদ নাওয়াজ, উমাইদ আসিফ এবং আরিশ আলী খানের। অবশ্য বোলিং ফিগার বিবেচনায় জেসন হোল্ডারের গতকালের বোলিং ফিগার থাকছে তৃতীয় স্থানে। সবার ওপরে আছেন নাওয়াজ।
পিএসএল অভিষেকে সেরা বোলিং ফিগার
১৩/৪ - মোহাম্মদ নাওয়াজ (কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স), প্রতিপক্ষ - ইসলামাবাদ ইউনাটেড
২৩/৪ - উমাইদ আসিফ (পেশোয়ার জালমি), প্রতিপক্ষ - ইসলামাবাদ ইউনাইটেড
২৮/৪ - আরিশ আলি খান (কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স), প্রতিপক্ষ - করাচি কিংস
২৬/৪ - জেসন হোল্ডার (ইসলামাবাদ ইউনাইটেড), প্রতিপক্ষ - লাহোর কালান্দার্স
গতকালের ম্যাচে হোল্ডারের পাশাপাশি ইসলামাবাদের বোলিংয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন অধিনায়ক শাদাব খান। ৩ উইকেট শিকার করে রেকর্ডবুকে নাম তুলেছেন তিনিও। পিএসএল ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে ৭বার একই ইনিংসে ৩ বা এর বেশি উইকেট শিকার করেছেন শাদাব।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৫২:৪৫ ৩ বার পঠিত