জামালপুরে কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ, অতঃপর অন্তঃসত্ত্বা, থানায় মামলা,ধর্ষক পলাতক

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারি » জামালপুরে কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ, অতঃপর অন্তঃসত্ত্বা, থানায় মামলা,ধর্ষক পলাতক
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫



জামালপুরে কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ, অতঃপর অন্তঃসত্ত্বা, থানায় মামলা,ধর্ষক পলাতক

জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরে সরিষাবাড়ীতে জাহিদুল ইসলাম (২৩) নামে এক বিবাহিত যুবকের বিরুদ্ধে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকালে ওই ধর্ষিতা কিশোরী মৃত একটি ছেলে সন্তান প্রসব করেছে। আর এই নিয়ে এলাকার মধ্যে ব্যাপক সমালোচনা ও হইচই পড়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ৮ মাস পূর্বে সন্তান প্রসবিত ওই কিশোরী তার আপন চাচাতো ভাই জাহিদুলদের বাড়ীতে বেড়াতে গেলে সে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর জাহিদুল ওই ধর্ষিতা কিশোরীকে মেরে ফেলার ভয়-ভীতি দেখালে সে আর কাউকে কিছু বলেনি। পরে ধীরে ধীরে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। দীর্ঘ সাত মাস অন্তঃসত্ত্বা থাকার পর শুক্রবার সকালে সে একটি মৃত ছেলে সন্তান প্রসব করে।

জানা গেছে ধর্ষক জাহিদুল ইসলাম আওনা ইউনিয়নের নাতের পাড়া গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে এবং ধর্ষিতা ও কিশোরী একই গ্রামে শারীরিক প্রতিবন্ধী নাপিত সোহেল রানার মেয়ে। তারা একে অপরের চাচাতো ভাই বোন।

ধর্ষিতা কিশোরী জানায়, জাহিদুলের ছোট বোন সুবর্ণা আক্তার তার স্কুলের সহপাঠী ও বান্ধবী। তারা দুজনেই কাবারিয়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় এর অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সেই সুবাদে একে অপরের বাড়িতে যাতায়াত করতো। একদিন জাহিদুলদের বাড়িতে খাবার খেলে। সেই খাবারে লম্পট জাহিদুল ইসলাম কিছু একটা মিশিয়ে দিলে খাওয়ার পর, তার ঘুম চলে আসে। এরপর সে ওখানেই ঘুমিয়ে পড়ে এবং জাহিদুল তাকে ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি সে বুঝতে পারলে জাহিদুল তাকে মেরে ফেলার ভয় ভীতি দেখায় এবং বিভিন্ন সময় আরো কয়েকবার তাকে জোরপূর্ব ধর্ষণ করে। যার ফলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে এবং বন্ধ হয়ে যায় তার স্কুলে যাওয়া। ধীরে ধীরে পেটে সন্তান বড় হতে থাকলে সে নিজেকে সবার দৃষ্টি থেকে আড়াল করে রাখে এবং বাড়ী ছাড়া কোথাও যেতনা বলেও জানান। আর এ বিষয়টি তার দরিদ্র বাবা-মা ছাড়া আর কেউ জানতো না।

ওই কিশোরী আরও জানায়, দীর্ঘ সাত মাস অন্তঃসত্তা থাকার পর হঠাৎ করে তার বান্ধবী সুবর্ণা আক্তার গত তিন দিন আগে তাদের বাড়িতে আসে এবং তার সাথে ভালো আচরণ করে তাকে একটি ঔষধ খাইয়ে দেয়। এরফলে শুক্রবার সকালে তার প্রসব ব্যথা শুরু হয় এবং সকাল সাড়ে দশটার দিকে তার একটি মৃত ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।

পরে এই সংবাদ এলাকার মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে এক চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয় এবং ওই কিশোরীর পিতা সোহেল মিয়া থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত শিশুর সুরতহাল শনাক্ত করে থানায় নিয়ে আসে এবং প্রসবিত অসুস্থ ওই কিশোরীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। বর্তমানে সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এদিকে অভিযুক্ত ধর্ষক জাহিদুল ইসলাম ও পরিবারের লোকজন বাড়ী ছেড়ে আত্মগোপন করেছে বলে স্থানীয়রা জানান এবং অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান স্থানীয়রা।

ওই কিশোরীর দাদী সূর্যভানু বলেন, ‘জাহিদুল আমার নাতির সর্বনাশ করেছে। এখন তারা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। তারা টাকাওয়ালা মানুষ আমরা কি সঠিক বিচার পাবো।

কিশোরীর পিতা সোহেল মিয়া বলেন, আমি গরিব অসহায় মানুষ। আমার অর্থ বিত্ত নেই। মান সম্মান ও জাহিদুলের ভয় ভীতিতে এতদিন কিছুই বলতে পারিনি। চোখের সামনে আমার মেয়ের জীবনটা নষ্ট হয়ে গেলে। আমি কিছুই করতে পারলাম না। আজ আপনাদের কাছে ও সরকারের কাছে আমার মেয়ের সাথী যে অন্যায় হয়েছে এর উপযুক্ত বিচার চাই। ওরা এখন আমাকে হুমকি দিচ্ছে ওরা নাকি টাকা দিয়ে পুলিশ, আইন আদালত কিনে নিবে।

অভিযুক্ত জাহিদুলের ছোটবোন সুর্বণা আক্তার বলেন, ‘আমি তার সাথে ২ মাস যাবত কথা বলিনা। তাকে কিভাবে ওষুধ খাওয়াবো। এটা সে মিথ্যা বলেছে।

এবিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ চাঁদ মিয়া বলেন, এঘটনায় মৃত নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২:২৩:১৬   ৬ বার পঠিত  




ছবি গ্যালারি’র আরও খবর


পেটের ক্ষিধে ঠিকমতো মিটলে রাজনীতি সুন্দর হবে : সারজিস
চেঙ্গী নদীতে ফুল ভাসিয়ে খাগড়াছড়িতে ‘বৈসাবি’ উৎসব শুরু
তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের সাক্ষাৎ
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা কামনায় মোনাজাতে কাঁদলেন মানুষজন
রিশাদের দলের বিপক্ষে নেমেই পিএসএলে ইতিহাস গড়লেন হোল্ডার



আর্কাইভ