
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, সরকারের উচিত ফিলিস্তিনীদের পাশে দাঁড়ানো। ফিলিস্তিনীদের স্বার্থে আমাদের কী করতে হবে সরকার তা ঠিক করে দিক। আমরা ফিলিস্তিনীদের স্বার্থের সকল কর্মকান্ডে সক্রিয় থাকবো। আমরা ফিলিস্তিনীদের মুক্তি চাই। আমরা চাই, ফিলিস্তিনীরা যেনো মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে পারে। আগামী বরিবার সারাদেশে জাতীয় পার্টি ফিলিস্তিনীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ করেব। সেই কর্মসূচি সফল করতে সবার প্রতি আহবান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
আজ বিকেল ৪টায় জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইল চত্বরে ফিলিস্তিনী জনগণের প্রতি সমর্থন ও ইসরাইলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত সমাবেশে গোলাম মোহাম্মদ কাদের এ কথা বলেন।
এ সময় গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ফিলিস্তিনে বর্বর ইসরাইল যে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে আমরা তার তিব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ফিলিস্তিনের ভাইবোনদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও সমর্থন অব্যাহত থাকবে। আমরা তাদের পাশে আছি, সব সময় তাদের পাশে থাকবো। ফুটফুটে শিশুদের র্টার্গেট করে হত্যা করা হচ্ছে বিশ্ব বিবেক কী করে মেনে নিতে পারে ? আমরা কি মানুষ ? আমাদের মনুষত্ব কি শেষ হয়ে গেছে ? ফিলিস্তিনীদের সকল ন্যায্য দাবির প্রতি আমাদের সমর্থন থাকবে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সাথে সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি, ফিলিস্তিনীদের পাশে দাঁড়ান। অসহায় ফিলিস্তিনীদের রক্ষা করার ব্যবস্থা করুন। নিরিহ মানুষ যেনো পাশবিক নির্যাতনের শিকার না হয়।
গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে অনেক মানুষ নতুন করে বেকার হচ্ছে। সরকারের কিছু ঘনিষ্ঠ মানুষ বেকার ও ক্ষুধার্তদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে। তাদের দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে হুমকী-ধমকী দেয়া হচ্ছে। ভয়-ভীতি দেখানোর কাজে বেকারদের ব্যবহার করা হচ্ছে। একারনেই, ফিলিস্তিনীদের সমর্থনে অনুষ্ঠিত মিছিল থেকে লুট-পাটের ঘটনা ঘটছে। ভাংচুর ও আত্মসাতের ঘটনা ঘটিয়ে কিছু মানুষ তাদের ক্ষমতা প্রদর্শন করতে চাচ্ছে। এভোবে সধারণ মানুষকে ভয় দেখাতে চাচ্ছে তারা। আমারা তাদের ভয়-ভীতি দেখানোকে পরোয়া কারিনা। যারা দুরে আগুন লাগিয়ে নিজেকে নিরাপদ ভাবছেন, দুদিন পরে সেই আগুন আপনার ঘরেও লাগতে পারে। সাধারণ মানুষের ওপর যে অত্যাচর চলছে তা অবশ্যই শেষ হবে। আমরা সকল অন্যায় ও অত্যাচারের প্রতিবাদ করবো
সমাবশে শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শেষ হয়েছে।
উপস্থিত ছিলেন পার্টি মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু , প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ইমরান হোসেন মিয়া, লিয়াকত হোসেন খোকা, মনিরুল ইসলাম মিলন, আরিফুর রহমান খান, ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপস, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা নুরুল আজহার শামীম, প্রফেসর ডঃ গোলাম মোস্তফা , অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন, খলিলুর রহমান খলিল, ইঞ্জিনিয়ার মাইনুল রাব্বি চৌধুরী রুম্মন, মাসরেকুল আজম রবি, হাজী শাহজাহান, ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ রাজু, সুলতান মোহাম্মদ সেলিম, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহিন, আমির উদ্দিন ডালু, হুমায়ুন খান, আক্তার হোসেন দেওয়ান, এম এ সোবাহান, যুগ্ম মহাসচিব শামসুল হক, মোহাম্মদ আমির হোসেন, আব্দুল হামিদ ভাসানী, শামীম আহমেদ রিজভী, এম এ হান্নান, জুবের আলম খান রবিন, খন্দকার দেলোয়ার জালালী, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নির্মল দাস,মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন হেলাল, এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, আবুল খায়ের, মিজানুর রহমান মিরু, আজাহার সরকার মাসুদুর রহমান মাসুম, মাহমুদ আলম, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, যুগ্ম সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জাকির হোসেন মৃধা, আবু সাদেক বাদল, মামুনুর রহিম সুমন, মোড়ল জিয়াউর রহমান, শরিফুল ইসলাম চৌধুরী অর্ণব, সমরেশ মণ্ডল মানিক, দ্বীন ইসলাম শেখ, শেখ মোঃ শান্ত, ঈসারুহুল্লাহ আসিফ, মোহাম্মদ ইউসুফ, ইঞ্জিনিয়ার জুবায়ের, শেরপুর জেলার আহ্বায় মাহমুদুল হক মনি, ইঞ্জিনিয়ার জুবায়ের, শ্রমিক পার্টির সভাপতি মোফতার উদ্দিন জসিম, কৃষক পার্টির সদস্যসচীব এম এ কুদ্দুস মানিক, প্রিন্স, মোটর শ্রমিক পার্টির আহবায়ক মেহেদী হাসান শিপন, সদস্য সচিব আঃ রহিম, হকার্স পার্টির আহবায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, যুগ্ন আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন, ছাত্র সমাজের আহবায়ক মারুফ হাসান তালুকদার প্রিন্স যুগ্ন আহবায়ক নাজমুল রেজা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:২৩:৫৪ ৬ বার পঠিত