
পুরনোকে বিদায় এবং নতন উদ্দীপনায় পথচলার বার্তা নিয়ে আসছে বাংলা নতুন বছর। পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরের বরণ ঘিরে রাজধানীসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মেলা, শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনষ্ঠানের পাশাপাশি পান্তাসহ বাঙালির বিভিন্ন জনপ্রিয় খাবারের পশরা দেখা যাবে।
সরকারি ছুটির এই দিনে রাজধানীবাসী বিভিন্ন অনুষ্ঠান ঘিরে আনন্দ আয়োজনে মেতে উঠতে পারেন সহজেই।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। এখানে ১৩-১৪ এপ্রিল নবপ্রাণ আন্দোলনের আয়োজনে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দিনব্যাপী থাকবে সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি, নাটক, প্রদর্শনী ও বাউল গানের আসর।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
১৩ এপ্রিল বিকেল ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। এতে পারফর্ম করবে ওয়ারফেজ, দলছুট, এভোয়েড রাফা, লালন, ভাইকিংস, স্টন ফ্রি। এছাড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যদের ব্যান্ডদল এফ মাইনর (গারো ব্যান্ড), ইনভোকেশন (চাকমা ব্যান্ড), ইমাং (ত্রিপুরা ব্যান্ড), চিম্বুক (মারমা ব্যান্ড), ইউনিটিরও (খাসিয়া ব্যান্ড) পরিবেশনা থাকবে এ আয়োজনে।
রমনা বটমূল
বৈশাখের প্রথম প্রহর মানেই রমনা বটমূলের আয়োজন। সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে ছায়ানটের আয়োজনে রমনার বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এখানে দিনব্যাপী চলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পাশাপাশি আশপাশের কোনো দোকানে বসে খেতে পারেন পান্তা-ইলিশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পহেলা বৈশাখের সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে বাঙালিসহ পাহাড় ও সমতলের ২৮টি জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্র টিএসসিতেও ঘুরতে যেতে পারেন। যে কোনো জাতীয় উৎসবে স্থানটি গুরুত্বপূর্ণ। এখানে পেয়ে যাবেন গ্রামীণ মেলার পরিবেশ। এ ছাড়া অংশ নিতে পারেন ঢাবির চারুকলা অনুষদের বৈশাখী শোভাযাত্রায়।
এছাড়া সকাল ৬টায় ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে সুরের ধারার আয়োজনে পাহাড় ও সমতলের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া মুক্তমঞ্চে থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আয়োজন ঘিরে মিলবে বাহারি বাঙালি খাবার। এদিন চীনা কারিগরি দলের পরিবেশনায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ড্রোন শো ও বিকেলে বৈশাখী ব্যান্ড শো ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। গুলশান-২ এর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতি পার্কে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ১৩, ১৪ ও ১৫ এপ্রিল তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা ও নগর উৎসব আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।
এর বাইরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বৈশাখী মেলা ও উৎসব আয়োজন থাকবে। এর মধ্যে উত্তরার দিয়াবাড়ি, সুত্রাপুরের ধূপখোলা মাঠ, ওয়ারীর টিপু সুলতান রোড এবং পূর্বাচলের তিনশ’ ফুট উল্লেখযোগ্য। এসব জায়গায় সারাবছরই কমবেশি ভিড় থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৩৫:৫৭ ৫ বার পঠিত