
আরও একটি দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের রাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে বার্সেলোনা। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে তারা বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে। যেখানে একটি গোল ও দুটি অ্যাসিস্ট করে একটি রেকর্ড গড়েছেন বার্সার ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফায়েল রাফিনিয়া। যদিও একটি গোল ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে তিনি সতীর্থ পাউ কুবারসির কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন।
ডর্টমুন্ডকে হারানোর রাতে লেভানডফস্কি দুটি এবং একটি করে গোল করেছেন লামিনে ইয়ামাল ও রাফিনিয়া। জোড়া অ্যাসিস্ট ও একটি গোল করে সেলেসাও তারকা এদিন বার্সেলোনা কিংবদন্তি লিওনেল মেসির একটি রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এক আসরে ব্লু গানারদের হয়ে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ১৯টি গোল-অ্যাসিস্ট করলেন এই দুজন। সেই রেকর্ড অবশ্য ভেঙে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে রাফিনিয়ার সামনে।
এখন পর্যন্ত ব্রাজিল তারকা চলমান ইউসিএলে ১২ গোল ও ৭টি অ্যাসিস্ট করেছেন। এর আগে ২০১১-১২ মৌসুমের এই প্রতিযোগিতায় ১৪ গোল ও ৫ অ্যাসিস্ট করেছিলেন আলবিসেলেস্তে মহাতারকা মেসি। রাফিনিয়া অবশ্য এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গোলদাতাদের তালিকায়ও শীর্ষে আছেন। সতীর্থ রবার্ট লেভান্ডফস্কির চেয়ে এক গোল (১২) বেশি করেছেন তিনি। কালকের ম্যাচে লেভা ও ইয়ামালের গোলে বলের যোগান দিয়ে চলতি ইউসিএলে সর্বোচ্চ ৭টি অ্যাসিস্টও এখন রাফিনিয়ারই দখলে।
যদিও ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ২৮ বছর বয়সী এই বার্সা তারকার করা গোলটিকে ‘ছিনতাই’ বলে উল্লেখ করেছে কেউ কেউ। ম্যাচের ২৫ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে বল পেয়ে গোল করেন রাফিনিয়া। তবে রাফিনিয়ার এই গোলের কারণে মন খারাপ হতে পারে ডিফেন্ডার পাউ কুবারসির। রাফিনিয়া পা না লাগালেও কুবারসির বাড়ানো বলটি জালে জড়িয়েই যেত। জালে জড়ানোর আগমুহূর্তে বলটিতে পা ছোঁয়ানোয় স্প্যানিশ গণমাধ্যমের তিরে বিদ্ধ হন রাফিনিয়া। ‘মার্কা’র দাবি– ব্রাজিল তারকা সতীর্থের গোল ‘চুরি’ করেছেন। বিশেষত ‘কুবারসির মতো কিশোরের’ সঙ্গে এটি তিনি করতে পারেন না। যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজের প্রথম গোল পেতে পারত।
সেই সমালোচনা অবশ্য নজর এড়ায়নি রাফিনিয়ার। সতীর্থ ও স্প্যানিশ ডিফেন্ডার কুবারসির কাছে ক্ষমা চেয়ে এই সেলেসাও তারকা বলেছেন, ‘আমি অফসাইড কি না তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম। আমি তাকেও (কুবারসি) বলেছি যে আমি বলটিতে গোল হওয়ার আগমুহূর্তে পা ছুঁয়েছি, এজন্য আমি দুঃখিত এবং কিন্তু সে এটিকে তার অ্যাসিস্ট হিসেবেই গণ্য করেছে। যদিও সেখানে আমার পুরো প্রচেষ্টা ছিল গোল পাওয়ার এবং সেটাই করেছি। আমি জানতাম না সেটি ইতোমধ্যে গোলের লক্ষ্যে যাচ্ছিল কি না। মনে হয়েছিল বল বাইরে চলে যেতে পারে।’
‘সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফুটবলারদের সঙ্গে খেলা এবং পারফর্ম করতে আমি পছন্দ করি। আমরা মাঠে পরস্পরকে অনেক ভালো জানি এবং খেলায় এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যা আমাদের বড় অর্জন এনে দিতে যাচ্ছে এবং আশা করি এই ধারা সামনেও অব্যাহত থাকবে’, আরও যোগ করেন রাফিনিয়া। ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে প্রথম লেগে বড় ব্যবধানে জিতে ইতোমধ্যে সেমিতে এক পা দিয়ে রেখেছে বার্সা। ১৬ এপ্রিল দুই দল দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হবে। এর আগে সর্বশেষ ২০১৯ ইউসিএলের সেমিতে খেলেছিল কাতালানরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:২৭:২৪ ৪ বার পঠিত