
পটুয়াখালীর দুমকিতে জুলাই আগস্ট আন্দোলনে এক শহীদের মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মূলহোতা সিফাত মুন্সিকে (১৯) গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
শুক্রবার (২১ মার্চ) ভোরে পিরোজপুরের নাজিপুর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সায়েদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাজিরপুর থেকে এক আত্মীয়র বাসা থেকে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
গত বছরের ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঢাকার মোহাম্মদপুরে গুলিবিদ্ধ হন ধর্ষণের শিকার মেয়েটির বাবা। ১০ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যার দিকে বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়ি যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়।
এ ঘটনায় দুমকি থানায় মামলা করেছে মেয়েটির পরিবার। অভিযুক্তদের মধ্যে মামুন মুন্সির ছেলে সাকিব মুন্সিকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও মূল আসামি সোহাগ মুন্সির ছেলে সিফাত মুন্সি পলাতক ছিলেন। আজ ভোরে তাকেও গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতারা মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সার্বিক সহযোগিতার কথা জানান। পরে রাত ৯টার দিকে পটুয়াখালীতে কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নির্যাতিতার মা বোন চাচা ও মামার সঙ্গে কথা বলে সার্বিক সহযোগিতার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন তিনি। মেয়েটিকে দেখতে পটুয়াখালী যান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামও।
বাংলাদেশ সময়: ১২:১৭:৫৭ ৩ বার পঠিত