দেশে তৈরি হবে করোনাসহ অন্যান্য রোগের ভ্যাকসিন। এজন্য প্লান্ট স্থাপন করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি ডায়াডিক ইন্টারন্যাশনাল এবং এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
বুধবার (২১ জুন) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে এই এমওইউ সই হয়। এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানির পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও অধ্যাপক ডা. এহসানুল কবির এবং ডায়াডিক ইন্টারন্যাশনালের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিইও মার্ক এমালফেরব সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, আমরা এই প্লান্টটি গোপালগঞ্জে স্থাপন করছি। এটি একটি অত্যাধুনিক প্লান্ট হবে। শুধু করোনা ভ্যাকসিন না, অন্যান্য ভ্যাকসিন যেগুলো বাংলাদেশের প্রয়োজন, সেগুলোও এখানে তৈরি করতে পারব।
করোনার সময় দেশে ৩৬ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার বেজ করে এই টিকার মূল্য হবে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। আমরা বেশিরভাগ টিকা ফ্রি পেয়েছি। বাকিটা সরকারের অর্থায়নে কেনা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানির পাশে জায়গা দেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রায় ৭-৮ একর জমিতে এই প্লান্ট হবে। এখানে যে ভ্যাকসিন উৎপাদন হবে, তা অন্তর্জাতিকমানের হবে। আশা করি আমরা বিদেশে এই ভ্যাকসিন রপ্তানি করতে পারব।
২ বছরের মধ্যে উৎপাদন শুরু করা যাবে বলেও এসময় আশা প্রকাশ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, তবে পুরোপুরি উৎপাদন শুরু করতে ৪ বছরের মতো লাগবে। এই প্রজেক্ট পুরোপুরি সফল হলে আমাদের ভ্যাকসিন আমদানির প্রয়োজন হবে না। আমরা আশা করি এই ভ্যাকসিন রপ্তানিও করতে পারব। আমরা প্রথমে করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু করব। এখানে অন্যান্য ভ্যাকসিন উৎপাদনেরও ব্যবস্থা থাকবে।
করোনা ভ্যাকসিন তৈরির পাশাপাশি যেগুলো আমাদের প্রয়োজন হয় ১২ ধরনের ভ্যাকসিন আস্তে আস্তে তৈরি হবে, জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫৩:৫৬ ৫৪ বার পঠিত