বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের চেহারা দেখেই বলে দিতে পারেন কার কী প্রয়োজন।
বুধবার (২১ জুন) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আগে নন রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের ১০ হাজার টাকা মেধাবৃত্তি দেয়া হতো, সেটা প্রধানমন্ত্রী ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) জানেন কার কী প্রয়োজন, মানুষের চেহারা দেখেই বলে দিতে পারেন কার কী চাই!
উপাচার্য বলেন, ‘যার কাছে চাইলে পাওয়া যায় তার কাছে চাইতে হবে, কিন্তু ভালোভাবে চাইতে হবে। তাই আমার শিক্ষার্থীরা আমার কাছে এসেছিল তাদের চাওয়া নিয়ে। কিন্তু কেউ কেউ তাদের বদ উপদেশ দিয়ে উল্টাপাল্টা কাজ করানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘তোমরা আমাদের সন্তানের মতো। নিজেরা নিজেদের ধ্বংস করো না, মা-বাবাকে ধ্বংস করো না। পড়াশোনা এখানে তোমার প্রধান উদ্দেশ্য, সেটা ভালোভাবে করতে হবে।’
শিক্ষার্থীদের নিয়ে দেশের স্বাস্থ্যক্ষেত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান উল্লেখ করে শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ভাতা দিতে দেরি হওয়ায় তোমাদের কিছুটা কষ্ট হয়েছে, কষ্টটা লাঘব করার জন্য আমরা চেষ্টা করেছি। সেদিন সবার মুখ কালো ছিল, আজ সবার মুখে হাসি–এই হাসিটা তোমরা রক্ষা করবে।’
তিনি বলেন, ‘রেসিডেন্ট-নন রেসিডেন্ট সবাই আমার ছাত্র। তারা তিনটি দাবি নিয়ে আমার কাছে এসেছিল। প্রথম দাবি ছিল: নন রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের যেন বকেয়াটা দেয়া হয়। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আজই আমরা টাকাটা পেয়েছি এবং সেই টাকাটা ঈদের আগেই আমরা তাদের বুঝিয়ে দিলাম।’
‘দ্বিতীয় দাবি ছিল: এই টাকাটা যেন নিয়মিত দেয়া হয়। নিয়মিতভাবে যেন তোমাদের দিতে পারি সেই ব্যবস্থা আমি করব। তৃতীয় দাবিটি ছিলে: রেসিডেন্টরা নিয়মিত যে ভাতা পাচ্ছে তা বৃদ্ধি করা। সে বিষয়ে আমি বলতে চাই, ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টা আমার হাতে নয়। তবে এসব বিষয়ে আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। কত ভাতা বাড়ালে কত টাকা বেশি লাগবে সে বিষয়ে আমি তাদের হিসাব দিয়ে এসেছি,’ যোগ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ১ হাজার ৩৪৯ জন নন রেসিডেন্টকে গত নয় মাসের বকেয়া ভাতা হিসেবে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, মাসিক ভাতা বৃদ্ধি, বকেয়া ভাতা পরিশোধ এবং ভাতা নিয়মিত দেয়ার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও প্রতিষ্ঠানটির অধীন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট প্রশিক্ষণার্থীসহ পাঁচ শতাধিক চিকিৎসক।
১৩ জুন (মঙ্গলবার) দুপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ব্লকের সামনে জড়ো হতে থাকেন চিকিৎসকরা। এরপর দুপুর ১২টার দিকে বিএসএমএমইউ উপাচার্যের কার্যালয় ভবনের নিচে বিক্ষোভ করেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৩৬:৩৩ ৬১ বার পঠিত