সংস্কার হবে জনগণের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে : আমীর খসরু

প্রথম পাতা » চট্রগ্রাম » সংস্কার হবে জনগণের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে : আমীর খসরু
শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫



সংস্কার হবে জনগণের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে : আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সংস্কার কোন ব্যক্তি এবং গোষ্টির বিষয় নয়। সংস্কার হবে বাংলাদেশের জনগণের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে। ৩১দফা আকাশ থেকে পড়ে নাই। বিএনপিসহ যারা রাজপথে যুগপৎ আন্দোলন করেছে, সবাই মিলে ৩১দফা সংস্কার প্রস্তাব প্রণয়ন করেছে।

তিনি বলেন, আমাদেরকে সংস্কারের গল্প বলার দরকার নেই। নতুন নতুন যারা সংস্কার শিখেছে, সেটা নিজেদের মধ্যে রেখে দেন। ৩১দফার জন্য আমাদের জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণ যদি ৩১দফার প্রতি সমর্থন জানিয়ে আমাদেরকে ভোট দেয়, তাহলে আমরা ৩১দফা বাস্তবায়ন করতে পারব।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর জিমনেসিয়াম মাঠে সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত বই মেলার মঞ্চে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ছয় বছর আগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভিশন-২০৩০ এর মাধ্যমে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন। দেড় বছর আগে তারেক রহমান সাহেবের নেতৃত্বে বিএনপিসহ যারা রাজপথে যুগপৎ আন্দোলন করেছে সবাই মিলে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব প্রণয়ন করেছে। ৩১দফা প্রণয়নে অনেক আলাপ হয়েছে, অনেক বিতর্ক হয়েছে, অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। তারপর ঐক্যমতের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ৩১ দফা প্রণয়ন করেছি।

এখন যারা সংস্কারের কথা বলছেন তাদের কাছে কোন মেন্ডেড আছে কিনা প্রশ্ন রেখে সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কমিশন হয়েছে আপনারা প্রস্তাব করুন। আপনারা কষ্ট করে করেছেন সেজন্য অনেক ধন্যবাদ। প্রস্তাবগুলো আগামী সংসদে পেশ করা হবে। আমরা বলেছি বলে ৩১দফা হয়ে যাবে তা নয়, সেটাও সংসদে আলোচনা হবে। জনগণের চিন্তার প্রতিফলন ঘটাতে দেশে আমরা গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনতে চাই। আগের মত রাষ্ট্র পরিচালনা করা যাবে না। বিগত দিনের ভুল ত্রুটি সব কিছু মুছে দিয়ে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী আগামীর বাংলাদেশ হবে নতুন বাংলাদেশ।

বইমেলা কি জিনিস সেটা নিজেই ভুলে গিয়েছিলাম উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু বলেন, বিগত দিনে বইমেলা বলতে যেটা বুঝাতো, সেটা হচ্ছে একটি দলের প্রতিষ্ঠাকারী এবং তার মেয়ে, তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের চিন্তা-ভাবনা দর্শন প্রতিফলিত হতো সেই বইমেলা গুলোতে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও সেই যাতনা পোহাতে হয়েছে। তাদের দর্শন ও চিন্তা কারিকুলামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়তে ও শিখতে বাধ্য করা হয়েছে। ভিন্নমত ও পথের কেউ যদি তাদের লেখার মাধ্যমে সেটা প্রকাশ পেতো, তাহলে তাদেরকে মিথ্যা মামলার শিকার হতে হত। তাদেরকে জেলে যেতে হত, চাকরিচ্যুত করা হতো। তাদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা হতো বিভিন্নভাবে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ উল্লাহ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব মো. ইদ্রিস মিয়া, সদস্য সচিব লায়ন মোহাম্মদ হেলাল, স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৩:৫৬   ৬ বার পঠিত  




চট্রগ্রাম’র আরও খবর


সংস্কার হবে জনগণের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে : আমীর খসরু
ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ধরে রাখতে হবে : এ্যানী
জাতিকে অস্থিরতার মধ্যে না রেখে দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন
কুমিল্লায় ৪৬ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ, আটক ১
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন কমিটি অবাঞ্ছিত ঘোষণা, ৫০ জনের পদত্যাগ



আর্কাইভ