চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: সেল্টিককে হতাশায় ডুবিয়ে নকআউট পর্বে বায়ার্ন

প্রথম পাতা » খেলা » চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: সেল্টিককে হতাশায় ডুবিয়ে নকআউট পর্বে বায়ার্ন
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫



চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: সেল্টিককে হতাশায় ডুবিয়ে নকআউট পর্বে বায়ার্ন

নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটের খেলা চলে তখন। দুই লেগের লড়াই অতিরিক্ত সময়ে পড়ানোর অপেক্ষায়। ঠিক তখনই সবকিছু বদলে গেল। ব্যবধান গড়ে দেওয়ার শেষ চেষ্টায় ভাগ্যকে পাশে পেল বায়ার্ন মিউনিখ। সেল্টিককে হতাশায় ডুবিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিল জার্মানির সফলতম ক্লাবটি। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় প্লে-অফের ফিরতি লেগে ১-১ ড্র করে, দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ অগ্রগামিতায় পরের ধাপে উঠল বায়ার্ন। গত সপ্তাহে স্কটিশ দলটির মাঠে ২-১ গোলে জিতেছিল ভিনসেন্ট কোম্পানির দল।

ফিরতি দেখায় ঠিক চেনা রূপে নিজেদের মেলে ধরতে পারছিল না বায়ার্ন। উল্টো দ্বিতীয়ার্ধে তাদের জালে বল পাঠান নিকোলাস কুন। এরপর, আক্রমণের ঝড় তোলে ছয়বারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। অবশেষে, গোলের জন্য ২৩তম প্রচেষ্টায় আলফুঁস ডেভিসের ছোঁয়ায় মেলে সাফল্যের দেখা। রক্ষণ জমাট রেখে, অসাধারণ কিছুর সম্ভাবনা জাগিয়ে একরাশ হতাশায় মাঠ ছাড়ল সেল্টিক। ৩০ শতাংশ বল দখলে রেখে পাঁচটি শট নিতে পারে তারা, যার তিনটি ছিল লক্ষ্যে।

প্রথম লেগে এগিয়ে থাকার স্বস্তি তো ছিলই, সেই সঙ্গে ঘরের মাঠে শুরুতেই লড়াইয়ের নিয়ন্ত্রণ মুঠোয় নেওয়ার সুযোগ পেয়ে যায় বায়ার্ন। কিন্তু, ওলিসের ক্রস গোলমুখে পেয়ে সের্গে জিনাব্রির হেড প্রতিপক্ষের একজনের শরীরে বাধা পায়। খানিক পর কয়েক মিনিটে দারুণ কয়েকটি আক্রমণ করে সেল্টিক, অবশ্য একটিও কাজে লাগাতে পারেনি তারা। ষোড়শ মিনিটে নিকোলাস কুনের শট লক্ষ্যেই ছিল, কিন্তু গোললাইনের সামনে রুখে দেন এক ডিফেন্ডার। কয়েক সেকেন্ড পর তাদের আরেকটি পরিষ্কার সুযোগ ভেস্তে যায়। এরপর আবার পাল্টা চাপ দেয় বায়ার্ন। প্রতিপক্ষকে যদিও তেমন কোনো কঠিন পরীক্ষায় ফেলতে পারছিল না তারা। বিরতির আগে দুর্ভাগ্যও বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাদের সামনে; হ্যারি কেইনের শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে ক্রসবারে লেগে ফেরে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বায়ার্ন মাঠে নামতেই বিস্ময় জাগে; কেইনের জায়গায় দেখা যায় কিংসলে কোমানকে। ৪৭তম মিনিটে ডেডলক ভাঙার নিশ্চিত সুযোগ পায় স্বাগতিকরা। বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে একা পান লেয়ন গোরেটস্কা; কিন্তু তার শট এগিয়ে এসে দারুণভাবে রুখে দেন কাসপের স্মাইকেল। লড়াইয়ে নাটকীয় মোড় নেয় ৬৩তম মিনিটে। এই অর্ধে গোলের জন্য প্রথম শট নিয়েই সাফল্য পায় সেল্টিক। নিজেদের সীমানায় বায়ার্ন পজেশন হারালে দ্রুত আক্রমণ শাণায় সফরকারীরা। বক্সের মুখে আরেক ডিফেন্ডার কিম-মিন-জেও পারেননি ক্লিয়ার করতে, সেই সুযোগে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কোনাকুনি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন জার্মান ফরোয়ার্ড কুন। ম্যাচে এগিয়ে যায় সেল্টিক, দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-২।

গোল খেয়ে যেন তেতে ওঠে বায়ার্ন। জিনাব্রিকে তুলে লেরয় সানে ও ডিফেন্ডার রাফায়েল গেররেইরোর জায়গায় আরেক ফরোয়ার্ড ডেভিসকে নামান কোচ। মাঠেও তার প্রভাব পড়ে। প্রবল চাপ তৈরি করে বায়ার্ন। ৭৪তম একাধিক খেলোয়াড়কে কাটিয়ে সানের নেওয়া শট হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট। টানা আক্রমণে এরপরও সুযোগ আসতে থাকে; কিন্তু ব্যর্থতা কিছুতেই পিছু ছাড়ছিল না তাদের। ৭৯তম মিনিটে জসুয়া কিমিখের শট একজনের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়াতে যাচ্ছিল, অসাধারণ ক্ষীপ্রতায় ঝাঁপিয়ে আটকে দেন স্মাইকেল।

অনেক সুযোগ নষ্টের পর অবশেষে কাঙ্ক্ষিত গোলটির দেখা পায় বায়ার্ন। গোরেটস্কার শট আটকে দিলেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি স্মাইকেল। আলগা বল একজন ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন, কিন্তু ওখানে ছুটে যাওয়া ডেভিসের পায়ে লেগে বল গোললাইন পেরিয়ে যায়। উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনা, আর সেল্টিকের খেলোয়াড়দের চোখে-মুখে ভর করে রাজ্যের হতাশা।

বাংলাদেশ সময়: ১১:২১:১২   ৭ বার পঠিত  




খেলা’র আরও খবর


১৯ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভাঙলেন হৃদয়-জাকের
ম্যানসিটিকে হারিয়ে শেষ ষোলোতে রিয়াল মাদ্রিদ
জুভেন্টাসকে বিদায় করে চমকে দিল পিএসভি
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: সেল্টিককে হতাশায় ডুবিয়ে নকআউট পর্বে বায়ার্ন
কারানের সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়ের সিরিজ জয়



আর্কাইভ