
ওয়ানডের এক ইনিংসে যার ১৬টি ছক্কা আছে, তার কাছে ৭টি ছক্কা আর এমন কী! তবুও কুটাকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে রোহিত শর্মার এই ৭টি ছক্কা স্পেশাল। স্পেশাল এই কারণে যে, এর মাধ্যমেই ক্রিস গেইলকে ছাড়িয়ে বিশ্ব রেকর্ডের দিকে ছুটছেন তিনি।
কুটাকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নামার আগে ছক্কা মারার হিসাবে গেইলের সঙ্গে একই কাতারে ছিলেন রোহিত। দুজনেরই ছিল ৩৩১টি ওভার বাউন্ডারি। ৯০ বলে ৭ ছক্কার ইনিংস শেষে রোহিতের মোট ছক্কার সংখ্যা এখন ৩৩৮। শহীদ আফ্রিদির বিশ্ব রেকর্ড ভাঙতে তার লাগে আর ১৪ ছয়। ৩৯৮ ম্যাচে ৩৫১টি ছয় মেরেছেন পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার।
গেইলকে তো ছাড়িয়ে গেলেনই, রোহিত আফ্রিদিকেও হয়তো শিগগিরই পেছনে ফেলবেন। গেইল ও আফ্রিদি দুজনই অবসরে গেছেন দীর্ঘদিন হলো। ফলে বলেই দেওয়া যায়, ক্যারিয়ার শেষে রোহিত শীর্ষস্থানটি দখলে নিয়েই ফেলবেন।
মজার ব্যাপার হলো, কুটাকে ভারত ও ইংল্যান্ডের ১৮ জন মিলে যতটি ছক্কা মেরেছেন, রোহিত শর্মার ছক্কা তার চেয়ে বেশি। ইংল্যান্ডের ১১ ও ভারতের ৭ জন মিলে মেরেছেন ৬টি ছক্কা। রোহিত এর চেয়ে বেশি ছক্কা মেরেছেন আরও ৪ ওয়ানডে ইনিংসে। ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০৯ রানের ইনিংসের ১৬টি সবার শীর্ষে, ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০৮ রানের ইনিংসে ছিল ১২টি, আর ওয়ানডে ক্যারিয়ারসেরা ২৬৪ রানের ইনিংসে ৯টি, গুয়াহাটিতে ২০১৮ সালে ১৫২ রান করতে মেরেছিলেন ৮টি ছক্কা।
রোহিতের ছক্কাম্যান ঘরানার কোনো উপাধি প্রাপ্য। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে তার ছক্কাই যে সবচেয়ে বেশি। ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার পর ৪৯৩ ম্যাচে এখন পর্যন্ত ৬৩১টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা গেইলের ক্ষেত্রে সংখ্যাটি ৫৫৩। আরও একটি তথ্য হলো, ছক্কাম্যান রোহিত টি-টোয়েন্টিরও সর্বোচ্চ ছক্কার মালিক। ১৫৯ ম্যাচে তার ছক্কা ২০৫টি। এখানেও দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে তার বড় ব্যবধান। গাপটিল ১২২ ম্যাচে মেরেছেন ১৭৩টি।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৫০:০০ ১৫ বার পঠিত