
জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরে সরিষাবাড়ীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের সালিশ বৈঠকে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষে অন্তত ১৪ আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মহাদান ইউনিয়নের বরসরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, সাইফুল ইসলাম (৫৫), হাফিজুর রহমান (৫০), খোকন মিয়া (৩৫), রাশেদা বেগম (৪০), রবিন মিয়া (৩০), তারিকুল ইসলাম (৩০), রুবেল মিয়া (২৮), আল আমিন (৩৯), তানজিদ ইসলাম (১৮), নাসির উদ্দিন (৬০) পিতা মৃত আব্দুর রহমান
রাশেদুল ইসলাম জ্যোৎস্না (৩৫) ,রঞ্জু মিয়া(২৫) ও বিল্লাল হোসেন (৩৫) ।
তাদের মধ্যে নাসির উদ্দিন, রাশেদুল ইসলাম জ্যোৎস্না ও তানজিদ ইসলাম গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে এবং ১০ জন উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। এ ছাড়াও বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের বরসরা গ্রামের মৃত আজগর মন্ডলের ছেলে হাফিজুর রহমান, সাইফুল ইসলাম এবং একই গ্রামের মৃত আব্দুল মন্ডলের ছেলে নাছির উদ্দিন, মনোহর হোসেন সঙ্গে দীর্ঘ দশবছর ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
এই বিরোধকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে খাসপাড় মাদ্রাসা মাঠে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এক সালিশ বৈঠকে বসেন। বৈঠক চলাকালীন সময় হাফিজুরের ছেলে সুমিন ভিডিও করে। এই নিয়ে বাছেদ এর ছেলে রাব্বি প্রতিবাদ করলে উভয়ের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার একপর্যায় হাফিজুর রহমান সমর্থকের লোকজন ও নাছির উদ্দিন সমর্থকের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে লাঠিসোটার আঘাতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৪ জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেয়।
আহত নাছির উদ্দিন বলেন, বাব-দাদার ওয়ারিসের সম্পত্তি অতিরিক্ত জোরপূর্বক দখল করে দীর্ঘদিন যাবত তারা চাষাবাদ করে আসছে। আমরা হিসাব চাইলে তারা হিসাব দিতে চায় না। এই নিয়ে গ্রাম্য সালিশ বৈঠক ডাকলেও তারা আসে না। গত কয়েকদিন আগে ওই বিরোধপূর্ণ জমিতে হাল দিতে গেলে আমরা বাধা দেই এবং বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উভয় পক্ষকে গ্রাম্য সালিশের মধ্য দিয়ে মীমাংসা হতে বলে। যার প্রেক্ষিতে এই সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। কিন্তু সালিশ বৈঠকে হাফিজুরের ছেলে সুমিন ভিডিও করে। এই ভিডিও করাকে নিষেধ করলেই তারা উত্তেজিত হয়ে সালিশিয়ানদের সহ আমাদেরকে মারপিট করে আহত করেছে।
অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান বলেন, সালিশ বৈঠকে আমাদের কেউ ভিডিও করেনি। সালিশ বৈঠকে আসা মাতাব্বরগণ শালিশ না করে উঠে যাচ্ছিল। এই নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করায় আমাদেরকে মারপিট করেছে। এছাড়াও তারা যে জমিটি দাবি করছে এই জমি তাদের নয় বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ চাঁদ মিয়া বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। তবে এঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৫৪:৪৭ ২২ বার পঠিত