অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের উদ্দেশ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘সৌভাগ্যক্রমে সুযোগ পেয়েছেন; কিছু একটা করে দেখান।’
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘খাদ্যপণ্যের যৌক্তিক দাম: বাজার তত্ত্বাবধানের কৌশল অনুসন্ধান’ শীর্ষক নীতি সম্মেলনে তিনি এসব বলেন।
সারজিস বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে ল অ্যান্ড অর্ডারের যে প্রত্যাশা আমাদের সেটা দেখতে পাচ্ছি না। উপদেষ্টারা সবাই ভালো ভালো মানুষ, তাই হয়তো ভাবছেন সবাই ভালো মানুষ। না হয় তারা ভাবছেন, সবাই ভালো হয়ে যাবে। আদতে সেটা সম্ভব নয়। যুগের পর যুগ অস্তিমজ্জায় যে কালচার, জেনিটেকেলি যেভাবে মোডিফাই হয়ে গেছে সেখান থেকে বের করে একটি পরিবর্তিত সিস্টেম নিয়ে আসার জন্য আমাদের যে পরিমাণ কঠোর হওয়ার দরকার, সেটা দেখতে পাচ্ছি না।’
উপদেষ্টাদের উদ্দেশ্যে সারজিস বলেন, ‘আমরা মনে করি অনেক রক্তের বিনিময়ে সৌভাগ্যক্রমে সুযোগ পেয়েছেন উপদেষ্টারা, ফলে যে সময়টুকু পাবেন সে সময়ে কিছু একটা করে দেখান। এ চেষ্টাটুকু করেন, অন্তত একটা কাজ করেন। অন্তত ২৪ জন উপদেষ্টা যদি তার মন্ত্রণালয়ের একটা করে ২৪টা কাজ করে যান, যেটা পরিবর্তিত বাংলাদেশের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এরপর যদি খুনি হাসিনা, তার দোসর কিংবা কোনো এজেন্ট এসে হত্যা করে ফেলে বিন্দু মাত্র দুঃখ থাকবে না। অন্তত এটুকু বলতে পারবো, অন্তর্বর্তী সরকারের সময় ২৪ জন উপদেষ্টা ২৪টা সংস্কার করেছেন, যেটা পুরো বাংলাদেশের পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’
বাজার নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের বাণিজ্যের বিষয়গুলো বিগত ১৬ বছর এবং তার আগেও কিছু বড় বড় প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করেছে। বিশেষ করে আমদানি বাজার তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এ বড় প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিক করে দেয় কোন মাঝারি বা ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান কার কাছ থেকে আমদানি করবে। এমনি বড় প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ছাড়া বা কল না দিলে মাদার ভেসেল থেকে লাইটার জাহাজে পণ্য নামে না। শুধু তাই নয়, এসব বড় প্রতিষ্ঠান বাজারে প্রতিযোগিতা না করে এরিয়া ভাগ করে নিয়ন্ত্রণ করছে।’
‘ফলে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা ছাড়া বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। এটা সামগ্রিক প্রচেষ্টায় সম্ভব। প্রতিটি ধাপে প্রতিটি স্টেকহোল্ডারের এ ব্যাপারে কাজ করার জায়গা রয়েছে।’ যোগ করেন সারজিস।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:২৪:১৯ ১ বার পঠিত