জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে ফরচুন বরিশাল। গতকাল সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারিয়ে প্লে অফ নিশ্চিত করা দলটি আজ টানা পঞ্চম জয় পেয়েছে। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে জয়টি এসেছে ৫ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের।
মিরপুরে ১৮৮ রান তাড়ার শুরুটা বরিশালের ভালো না হলেও দ্বিতীয় উইকেটে দারুণ এক জুটি গড়েন ডেভিড মালান ও অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
৯১ রানের দুর্দান্ত জুটিটাতে অবশ্য মালানের অবদানই বেশি। অধিনায়কের ২৭ রানের বিপরীতে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন মালান। ইংল্যান্ডের সাবেক বাঁহাতি ব্যাটার ১৭০.২৭ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটি সাজান ৩ ছক্কা ও ৮ চারে। এর আগে উদ্বোধনী জুটিতে ১১ রান করেছিলেন তামিম-তাওহিদ হৃদয় (১১)।
তামিম-মালানের দারুণ জুটিতে জয়টা তখন সময়ের ব্যাপার বরিশালের। তবে ১৭তম ওভারে দুই ভায়রা মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ এবং মুশফিকুর রহিম আউট হলে রোমাঞ্চের সম্ভাবনা জাগে। কেননা তখন সমীকরণ দাঁড়ায় ২২ বলে ৩৬ রানের। তবে সেই রোমাঞ্চকে মুহূর্তেই ঠাণ্ডা করে দেন মোহাম্মদ নবী ও ফাহিম আশরাফ।
১৬ বলে ৩৬ রানের অপরাজিত জুটি গড়ে ম্যাচ শেষ করে দেন তারা। নবীর ১৫ রানের বিপরীতে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন ফাহিম। এতে ৫ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় পায় বরিশাল।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে ৫ উইকেটে ১৮৭ রান করে খুলনা টাইগার্স। দলকে ওপেনিংয়ে দারুণ শুরু এনে দেন নাঈম শেখ ও অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।
দুজনে মিলে ৪৭ রানের জুটি গড়েন। ১ চার ও ৩ ছক্কায় ২৯ রানে মিরাজ আউট হলেও আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ফিফটি করেই থেমেছেন নাঈম। ১৮৮.৮৮ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৫ চার ও ৩ ছক্কায়।
নাঈম-মিরাজের দারুণ শুরুটা পরে টেনেছেন তাদের অন্য সতীর্থরা। পরের পাঁচ ব্যাটারের মধ্যে শুধু মোহাম্মদ নওয়াজ (২) ছাড়া প্রত্যেকেই দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করেছেন। দুই অস্ট্রেলিয়ান অ্যালেক্স রস ও উইলিয়াম বসিস্টো করে সমান ২০ রান। অ্যদিকে আফিফ হোসেনের ৩২ রানের বিপরীতে ঝোড়ো ২৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ২২৫.০০ স্ট্রাইক রেটের ইনিংস সাজিয়েছেন ৩ ছক্কা ও ২ চারে। তবে তাদের বিশ কিংবা তার চেয়ে বেশি রানের কল্যাণে খুলনা বড় সংগ্রহ পেলেও দল হেরে যাওয়া তা আর কাজে আসেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:২৭:৪২ ১ বার পঠিত