দিনাজপুরের বিরল সীমান্তে ধরে নিয়ে যাওয়া কৃষক আল- আমিনকে ৬ ঘণ্টা পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দেওয়া হয়েছে তাকে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর বিওপি ক্যাম্পের দ্বীপনগর গ্রামের ৩২৩ মেইন পিলারসংলগ্ন এলাকায় ক্ষেতে কৃষি কাজ করার সময় তাকে মারধর করে তুলে নিয়ে যায় বিএসএফ ।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বাংলাদেশি কয়েকজন নাগরিক ভারতীয় এক কৃষককে ধরে এনে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যদের হাতে তুলে দেয়।
এ ঘটনায় উভয় সীমান্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিএসএফ সদস্য কর্তৃক ধরে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি যুবকের নাম মো. আল-আমীন (২৪)। তিনি বিরল উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের কৈকুড়ি গ্রামের কৃষক রিয়াজউদ্দিনের ছেলে। অপর দিকে বিজিবির হেফাজতে থাকা ভারতীয় নাগরিক হলেন পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুসুমন্ডি থানার পূর্ব মোল্লাপাড়া গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র রায় (৪৫)।
পরে এ নিয়ে উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর (বিজিবি ও বিএসএফ) সদস্যদের পতাকা বৈঠকে বসে। বৈঠকের পর বিকাল সোয়া ৪টায় বাংলাদেশি যুবক এবং ভারতীয় কৃষককে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
ইউপি সদস্য ডা.আবু সুফিয়ান, কৃষক প্রকাশ চন্দ্র, মকবুল হোসেন, মহরম আলীসহ কয়েকজন স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার সকালে আলামিন ৩২৩ নম্বর পিলার থেকে ৩৫০ গজ বাংলাদেশ সীমান্তের অভ্যন্তরে নিজ জমিতে কৃষিকাজ করছিলেন। এ সময় কয়েকজন বিএসএফ সদস্য তাকে মারধর করার পর টেনেহিঁচড়ে তুলে ধরে নিয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে এর প্রতিবাদে দ্বীপনগর গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা ভারতীয় এক কৃষককে তার জমি থেকে তুলে এনে এনায়েতপুর বিওপি ক্যাম্প সদস্যদের হাতে তুলে দেয়।
এ ঘটনায় উভয় সীমান্তে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা।
এ নিয়ে বিকাল ৪টা নাগাদ বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের পর বিকাল সোয়া ৪টায় বাংলাদেশি যুবক এবং ভারতীয় কৃষককে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
বৈঠক শেষে দিনাজপুর ৪২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আহসানুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘ ভুল বোঝাবুঝি কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টির মীমাংসা হয়েছে। বিকাল সোয়া ৪টায় আল-আমীনকে বিএসএফ ফেরত দিয়েছেন।
ভারতীয় নাগরিকেও বিএসএফের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে।’
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৮:৪০ ১ বার পঠিত