এক সেমিনারে বক্তারা সর্বসম্মতভাবে উল্লেখ করেছেন যে, দেশে ফিরে আসা অভিবাসীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি তাদের পরিবার ও সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি সমাজে অবদান রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হতে পারে।
অভিবাসীদেরকে গুরুত্বপূর্ণ রেমিট্যান্স-আয়কারী যোদ্ধা হিসেবে অভিহিত করে-তারা উল্লেখ করেন, তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য চাহিদা-ভিত্তিক সহায়তা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
‘অনানুষ্ঠানিক খাত কর্মসংস্থান পুনরুদ্ধার ও অগ্রগতি (আরএআইএসই)’ প্রকল্পের আওতায় ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক (ডিসি)-এর কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই প্রকল্প পরিচিতি সেমিনারের আয়োজন করে।
ডিসি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরএআইএসএ-এর প্রকল্প পরিচালক ড. মাহবুব-উল করিম বক্তব্য রাখেন।
সভায় টাস্ক টিম লিডার আনিকা রহমান, বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের (বিএনএসকে) নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিতন কুমার মণ্ডল, নুরুল হাই মুহাম্মদ আনাস ও জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বক্তব্য রাখেন।
মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনার সময় খুলনা কল্যাণ কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক ফসিউল আলম মজুরি উপার্জনকারী কল্যাণ বোর্ড এবং খুলনা কল্যাণ কেন্দ্রের অর্জন সম্পর্কে কথা বলেন। এ সময় তিনি আরএআইএসই প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন।
প্রকল্পের চূড়ান্ত লক্ষ্য হল-অনানুষ্ঠানিক খাতে যুব ও তরুণ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নের মাধ্যমে তাদের সক্ষমতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা।
শিক্ষানবিশ কর্মসূচির মাধ্যমে নিম্ন আয়ের পরিবারের যুবকদের টেকসই কর্মসংস্থানে সম্পৃক্ত করা এ প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য।
ড. মাহবুব-উল করিম তার বক্তব্যে বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় প্রত্যাবর্তনকারী অভিবাসীদের একীভূত করার জন্য মনো-সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির জন্য তাদের প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে।
নির্বাচিত দেশে প্রত্যাবর্তনকারীদের প্রত্যেককে নগদ ১৩,৫০০ টাকা ও একটি যোগ্যতা সনদ প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্পের আওতায় স্বদেশে প্রত্যাবর্তনকারীদের একটি সমৃদ্ধ ডাটাবেস প্রস্তুত করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৫০:৪৮ ১ বার পঠিত