পর্যটনে এক নম্বর দেশ হিসেবে স্বীকৃত মালদ্বীপ। ভিসা ছাড়াই যদি কোনো দেশ ভ্রমণ কিংবা বিয়ের পর নির্জনে একান্তে কিছু সময় কাটাতে চান তবে ঘুরে আসতে পারেন সৌন্দর্যের অপার লীলাভূমি এ দ্বীপ রাষ্ট্রে।
বিদেশ ভ্রমণের সাধ আছে তবে সাধ্য নেই, তবে কম পয়সায় বাজেট বান্ধব দেশ হতে পারে মালদ্বীপ। লাখ পাঁচেকের বেশি জনসংখ্যার এ দেশটি ২০২০, ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালে‘ওয়ার্ল্ড বেস্ট টুরিস্ট ডেসটিনেশন’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশনের স্বীকৃত সেরা ট্যুরিস্ট স্পট মালদ্বীপ ভ্রমণের সেরা সময় নভেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে। খরচ কমাতে চাইলে গরমের দিনে অর্থাৎ মে-জুন মাসে এখানে আসতে পারেন। বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের প্যাকেজ দেখে বাছাই করে নিতে পারেন আপনার সেরা ও পছন্দের প্ল্যানটি।
সাধারণত ঢাকা-মালদ্বীপ-ঢাকা রিটার্ন এয়ার টিকিট, দুই রাত হোটেলে থাকা, বুফে ব্রেকফাস্ট, মালে এয়ারপোর্ট থেকে হোটেলে স্পিডবোটে পিক ড্রপসহ ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা পেতে জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা খরচ করলেই ঘুরে আসতে পারেন পৃথিবীর সেরা দর্শনীয় স্থানগুলোর একটিতে।
আসুন এক নজরে দেখে নিই, মালদ্বীপের কিছু দর্শনীয় স্থান-
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি মালদ্বীপ ভ্রমণ বাংলাদেশিদের জন্য তুলনামূলক বেশ সহজ। ছবি: সংগৃহীত
১। মালে সিটি: মালদ্বীপ ভ্রমণ শুরু করতে পারেন রাজধানী মালে সিটি দিয়ে। এখানকার ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য আপনার নজর কাড়বে। এছাড়া নীল সমুদ্র এবং তাল গাছের বিশাল সমারোহ মালে সিটিকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
২। হোয়েল সাবমেরিন: মালদ্বীপ ভ্রমণে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা পেতে হোয়েল সাবমেরিনে সমুদ্রের তলদেশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। হোয়েল সাবমেরিনে সমুদ্রের তলদেশে মালদ্বীপের বিচিত্র ও রঙিন জলজ প্রাণীর দেখা পাবেন।
হলুদ বক্সফিশ, নীল স্ন্যাপার, লায়নফিশ, কচ্ছপ এবং হাঙরের দেখা মিলবে। মালদ্বীপে গিয়ে ডাইভ করতে না চাইলে হোয়েল সাবমেরিনই সবচেয়ে ভালো বিকল্প।
৩। ভাধু দ্বীপ (তারার সাগর): স্বচ্ছ নীল পানিতে ‘তারার মেলা’য় এক ঐশ্বরিক দৃশ্য দেখতে হলে আপনাকে ছুটে আসতে হবে মালদ্বীপের ভাধু দ্বীপে।
তারার দ্বীপ
এ দ্বীপে সমুদ্রের ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন বায়োলুমিনেসেন্সের কারণে নীল নিয়ন আলো তৈরি হয় সমুদ্রের পানিতে। তাই অসংখ্য তারা-সদৃশ বস্তুর উপস্থিতি দেখা যায় সাগরে। দর্শনার্থীদের কাছে এ স্থান ‘তারার সাগর’ নামেও পরিচিত।
৪। ইথা আন্ডারসি রেস্টুরেন্ট: হিলটন মালদ্বীপ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পার অংশ ইথা আন্ডারসি রেস্টুরেন্ট। মুদ্র পৃষ্ঠের পাঁচ মিটার নিচে তৈরি এ রেস্টুরেন্টে মাত্র ১৪ জন বসার ব্যবসথা রয়েছে।
এখানে নির্জনে সময় কাটানোর সময় প্রবাল প্রাচীরের প্যানোরমিক দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন। তবে এখানে খাবার খরচ অস্বাভাবিকভাবে বেশি। ১২০ ডলারের নিচে কোনো খাবার পাওয়া যাবে না রেস্তোরাঁটিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৫৭:১৮ ১ বার পঠিত